কলকাতা: ''৫ বার বেরিয়ে যেতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। ধাক্কা মারা হয়েছে রাজ্যপালকে। মুখ্যমন্ত্রীর চোখের ইশারায় রাজ্যপালকে হেনস্থা করেছে মহিলা তৃণমূল বিধায়করা। চন্দ্রিমা, শশী-সহ মহিলা তৃণমূল বিধায়করা হেনস্থা করেছে রাজ্যপালকে। রাজ্যপাল মানবেন কিনা জানি না, কিন্তু শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। যারা বাইরে ভোট লুঠ করেছে, সেই গুন্ডা বিধায়করা হেনস্থা করেছে'', বিধানসভায় রাজ্যপালের বাধা নিয়ে অভিযোগ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।



রাজ্যপালের ভাষণ ঘিরে এক ঘণ্টা ধরে বিধানসভায় নাটকীয় পরিস্থিতি। আলাদা করে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। এদিন বিধানসভার ওয়েলে নেমে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিক্ষোভ দেখায়। পুরভোটে সন্ত্রাস নিয়ে বিজেপির বিক্ষোভ। বিক্ষোভের জেরে ভাষণ শুরু করতে পারেননি রাজ্যপাল। রাজ্যপালকে ভাষণ শুরু করতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাতজোড় করে রাজ্যপালকে ভাষণ শুরু করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যেতে উদ্যত হন রাজ্যপাল। বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ থামাতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী।


পরে এই বিক্ষোভের কারণ হিসেবে বিজেপি নেতা সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ''এক নজিরবিহীন প্রতিবাদ এবার বিধানসভায় হয়েছে। মহামান্য় রাজ্যপালের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু এই যে লিখিত বক্তব্য, তা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক প্রসূত। এই বক্তব্যই রাজ্যপাল পড়তে গিয়েছিলেন। আমরা প্রতিবাদ করেছি, এই কারণেই যে পুরভোটে এই তিনমাস ব্যাপী এই রাজ্যে রাজ্য সরকারের পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভোট লুটের বাহার দেখা গিয়েছে। সঙ্গীতশিল্পী দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায়, খড়দহ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বর্গীয় তাপস পালও ভোট দিয়েছেন। অথচ অগ্নিমিত্রা পালও ভোট দিয়েছেন।''


শুভেন্দু আরও অভিযোগ করেন, ''পুরভােটে গুন্ডা সাপ্লাই দিয়েছেন, সওকল মোল্লা, জাহাঙ্গীর খানেদের মতো ব্যক্তিরা। অনুব্রত মণ্ডল, উদয়ণ গুহদের মতো ব্যক্তি যাঁদের সিবিআই খুঁজছে, প্রত্যেকে। তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতাও ভোট দিতে পারেননি। প্রয়াত শিল্পীর নামেও ভোট পড়ে গিয়েছে। রাজ্যপালের ভাষণের প্রতিলিপি দেখে প্রতিবাদ করেছি। আলিপুরদুয়ার, কাঁথি, তমলুক, ঘাটালে ভোট লুঠ হয়েছে। যেভাবে ভোট লুঠ হয়েছে, এই ভোট আমরা মানি না। যেভাবে ভোট লুঠ হয়েছে, তার প্রতিবাদ করেছে বিজেপি। রাজ্যপালের বক্তৃতার মধ্যে শিল্পের দিশা নেই। রাজ্যপালের বক্তৃতায় রাজ্যের বাস্তব পরিস্থিতির উল্লেখ নেই।''