ঝাড়গ্রাম : ঝাড়গ্রামে বিজেপি নেতা তারক সাউকে খুনের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। ধৃত চিত্তরঞ্জন রাউত ঝাড়গ্রামের আগুইবনির বাসিন্দা।
২০২১-এর ২১ মার্চ ঝাড়গ্রামের নেতুরা বাস স্ট্যান্ডের কাছে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তৃণমূল কর্মী দুর্গা সোরেনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তৃণমূল কর্মীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
অভিযোগ, তারই পাল্টা বিজেপি নেতা তারক সাউকে মারধর করা হয়। ২৫ মার্চ হাসপাতালে মৃত্যু হয় বিজেপি নেতার। এর আগে এই ঘটনায় মৃত তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী-সহ ৯ জন নেতা, কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ঘটনায় ১৪ জনের নামে এফআইআর (FIR) দায়ের হয়েছিল।
আরও পড়ুন ; ''অন্য বিমান চলে এসেছিল সামনে'', বিমান বিভ্রাটে বিধানসভায় দাবি মমতার
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগে (Post Poll Violence Allegations) আরও দু’টি মামলায় গত মাসে ফেরার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হুলিয়া (CBI Warrant) জারি করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (Central Bureau of Investigation/CBI) সিবিআই। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Elections 2021) ফলাফল ঘোষণাল পর শীতলখুচি (Sitalkuchi) এবং নলহাটিতে (Nalhati) দুই বিজেপি (BJP) কর্মীকে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় অভিযুক্তদের নাগাল পেতে হুলিয়া জারি করা হয়।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা যায়, কোচবিহারের শীতলকুচিতে গত ৩মে খুন হন বণিক মৈত্র নামের এক বিজেপি (BJP) কর্মী। ওই ঘটনায় শ্যামল বর্মণ, নবকুমার বর্মণের নাম উঠে এসেছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দেন তাঁরা। ওই দু’জনের খোঁজ পেতেই হুলিয়া জারি করা হয়।
অন্য দিকে, ভোটের পর বীরভূমের নলহাটিতেও এক বিজেপি কর্মী গত ১৪মে খুন হন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু অভিযুক্ত দু’জনই ঘটনার পর থেকে ফেরার। তাই তাঁদের বিরুদ্ধেও জারি করা হয় হুলিয়া।