অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: অতিমারিতে (Pandemic) প্রায় দু’বছর ক্লাসরুমে ঢোকা হয়নি। যে টুকু পড়াশোনা হয়েছে, তা ডিজিটাল মাধ্যমের দৌলতেই সম্ভব হয়েছে। কিন্তু শিশুমনে হাতেকলমে শেখার প্রতি আগ্রহ চলে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। এমন পরিস্থিতিতে পড়াশোনার প্রতি শিশুদের আগ্রহ বাড়াতে উদ্যোগী হল কলকাতা পুরসভা (KMC)। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে ‘আনন্দ গাড়ি’ প্রকল্প আনছে তারা।
দীর্ঘ দু’বছর পর স্কুলে (School) ফিরেছে কচিকাঁচারা। স্কুলে স্কুলে ফিরেছে চেনা হুল্লোড়। পড়ুয়াদের মধ্যে পড়াশোনাকে (Education)E নিয়ে আগ্রহ আরও বাড়াতে অভিনব প্রযুক্তি প্রকল্প ‘আনন্দ গাড়ি’ আনছে কলকাতা পুরসভা। স্কুলে স্কুলে পৌঁছে যাবে সেটি। সেখানে হাসি, মজা, হুল্লোড় করে হাতেকলমে শেখার প্রতি আগ্রহী করে তোলা হবে।
কী এই আনন্দ গাড়ি, কী ভাবে সেটি কাজ করবে, এ নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে এবিপি আনন্দের ক্যামেরায় তার খুঁটিনাটি ধরা পড়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, নানা আকারের কাটআউট তৈরি করে প্রশ্নোত্তর রাখা হয়েছে। চাকার মতো গোল অংশ, তার মধ্যে গোল গোল খোপ করা রয়েছে। উত্তর লুকিয়ে তার নীচেই। প্রশ্নোত্তর পর্বকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে তাতে বসানো রয়েছে স্মাইলিও।
আবার গাড়িতে রয়েছে থিয়েটার প্যানেলও, যা আদতে টিভির আকারে কাটা বোর্ড। তার এক প্রান্তে অভিনয় করে দেখাতে পারে পড়ুয়ারা। অন্য দিক থেকে টিভি দেখার মতো তাদের অভিনয় দেখবে বাকিরা। খেলার ছলে এ ভাবেই অঙ্ক, ইংরেজির পাশাপাশি নানা বিষয়ে পড়ুয়াদের শিক্ষাদান করা হবে।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহা জানিয়েছেন, লকডাউন উত্তর পর্বে স্কুলের পঠনপাঠনে পড়ুয়াদের আগ্রহী করে তুলতেই এমন উদ্যোগ। সোমবার থেকে রাস্তায় নামবে এই ‘আনন্দ গাড়ি’। প্রান্তিক এলাকা থেকেও ছেলেমেয়েরা পড়তে আসে। তারা আনন্দ পাবে বলে আশাবাদী তিনি।
অন্য দিকে, ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, এই প্রকল্পের উৎপত্তি আসলে বেলজিয়ামে। এর আগে ফিলিপিন্স এবং বাংলাদেশেও সেটি আনা হয়। তবে সেখানে কাজ হয়নি। তাই এই মুহূর্ত এশিয়ার মধ্যে ভারতই একমাত্র দেশ, যেখানে এই প্রযুক্তি আনা হল। কলকাতার ছেলেমেয়েদের জন্য বিশেষ ভাবে বাংলা ভাষায় এই প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।