রুমা পাল, কলকাতা: চেয়ারম্যান ও একজন সদস্য না থাকায়, পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের (Human Rights) কাজ। এই অবস্থায়, রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল (TMC)।


রাজ্য মানবাধিকার কমিশন (State Human Rights Commission) ঘিরে ঘোর অচলাবস্থা। চেয়ারম্যানের পদ খালি পড়ে রয়েছে। ২ জন সদস্যের মধ্যে রয়েছেন মাত্র ১ সদস্য এই পরিস্থিতিতে মানবাধিকার কমিশনের তরফে স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারা কাজ চালিয়ে যাবে কি না।


কিন্তু, সেই উত্তরও এখনও আসেনি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের (State Human Rights Commission) কাজকর্ম পুরোপুরি বন্ধ। বাংলার নানা প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ সুবিচারের আশায় মানবাধিকার কমিশনে আসে।


কিন্তু, এহেন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা সংক্রান্ত ফাইল নিয়ে, রাজ্য সরকার (West Bengal Government) এবং রাজ্যপালের (Governor Jagdep Dhankhar) মধ্যে অনেকদিন ধরে টানাপোড়েন চলছে। তৃণমূল (TMC) পরিচালিত সরকারের দাবি, রাজ্যপাল ফাইল আটকে রেখেছেন। যদিও, রাজ্যপাল আবার দাবি করছেন, তিনি কোনও ফাইল আটকে রাখেননি।


রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের শেষ চেয়ারম্যান ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি গিরিশ গুপ্ত। তাঁর অবসর নেওয়ার পর ২ মাস কেটে গেছে। কিন্তু, এখনও নতুন কোনও চেয়ারম্যান দায়িত্বভার নেননি। কমিশনের দুই সদস্যের মধ্যে একটি পদও শূন্য। তাও আবার দেড় বছরের বেশি সময় ধরে।


সম্প্রতি রাজ্য সরকার, কমিশনের চেয়ারম্যান পদে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এবং কমিশনের আরেক সদস্য হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদের নাম রাজভবনে পাঠায়। কিন্তু, নাম সুপারিশের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল।


রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) কথায়, আমি রাজ্য সরকারকে স্থায়ী চেয়ারম্যান নিয়োগের কথা বলেছিলাম, কিন্তু রাজ্য সরকার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়োগের সুপারিশ করেছে।


এই পরিস্থিতিতে না আছে চেয়ারম্যান, না আছে সদস্য। কাজ পুরোপুরি বন্ধ রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের। এই অচলাবস্থার জন্য তৃণমূল সরকারকে দায়ী করেছে বিরোধীরা।


মানবাধিকার কমিশনের কাজ বন্ধ। কটাক্ষ বিরোধীদের। রাজ্যপাল দায়ী : তৃণমূল


তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের কথায়, রাজ্যপাল নিজে এই অচলাবস্থা তৈরি করেছেন যা বেআইনি এবং অসাংবিধানিক।বিরোধীদের সংবিধানের জ্ঞান নেই। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কাজ বন্ধ থাকায় আখেরে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ।