রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: রাজ্যে ভ্যাকসিন হয়রানি অব্যাহত। গতমাসে প্রায় ৪২ লক্ষ ডোজ এসেছিল রাজ্যে। তবে ঘাটতি মেটেনি। আজ ফের রাজ্যে এল ৭ লক্ষ ২ হাজার ১৭০টি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ডোজ। পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে আজই মোট ৭ লক্ষ ২ হাজার ১৭০টি ডোজ এসে পৌঁছেছে কলকাতা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে নিয়ে বাগবাজার সেন্ট্রাল স্টোরেই আপাতত রাখা হবে। তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের জোগান নেই বলেই সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।


গত ৯ অগাস্ট রাজ্যে এসেছিল কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। বিকেল ৪টে ২৫ নাগাদ পুনে থেকে ইন্ডিগো বিমানে করে ভ্যাকসিন এসে পৌঁছয় কলকাতা বিমান বন্দরে। সেখান থেকেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা বাগবাজার স্টোরে নিয়ে যায় ভ্যাকসিনগুলি। কয়েকদিন আগেই রাজ্যে এসেছিল আরও ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার কোভিশিল্ড, ১ লক্ষ কোভ্যাক্সিনের ডোজ। কলকাতা পুরসভা, দঃ ২৪ পরগনা, উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় এই ভ্যাকসিন বণ্টন করা হবে বলে জানান হয়েছিল। 


যদিও রাজ্যে ভ্যাকসিন হয়রানির ছবিটা বদলাচ্ছে না। গতকাল কলকাতার দুটি সরকারি হাসপাতালে দেখা গিয়েছে ভ্যাকসিন হয়রানির ছবি। এনআরএসের ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের দাবি, কেউ এসেছেন রাত ৩টেয়, কেউ লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ভোর ৫টা থেকে। অভিযোগ, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় বাড়ছে হয়রানি। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালের তরফে মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, কলকাতা মেডিক্যালে রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও কুপন মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন ভ্যাকসিন গ্রহীতারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে চায়নি।


দিকে দিকে ভ্যাকসিনের আকাল। চড়া রোদ্দুর কিম্বা ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতির জন্য তৃণমূল-বিজেপি একে অপরের সরকারকে দায়ী করছে। প্রচলিত পদ্ধতি অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকার উৎপাদক সংস্থার কাছ থেকে ভ্যাকসিন কিনে রাজ্য সরকারগুলিকে দেয়। তারা সেই ভ্যাকসিন বণ্টন করে। এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাওয়া যায়। এর বাইরে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে মানুষ গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে ভ্যাকসিন কিনতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফের ভ্যাকসিনের দরবার তৃণমূলের। বাংলায় টিকা পাঠান, বৈঠকে মোদির কাছে আর্জি জানিয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, দাবি তৃণমূল সাংসদের।