মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: শনিবার এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী হল দুর্গাপুর। দামোদরে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন এক যুবক।


ঠিক কী ঘটেছে?


জানা গিয়েছে দিন পাঁচেক আগে বোলপুর থেকে দুর্গাপুরে মাসির বাড়ি ঘুরতে এসেছিলেন বছর উনিশের বিশাল দাস। মাসির বাড়ি আসার পর দামোদরে স্নান করতে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন ওই যুবক।


পরিবার সূত্রে খবর মাসিকে বিশাল বলেছিলেন যে শনিবার অর্থাৎ আজ মাসির ছেলের জন্মদিন কাটিয়ে রবিবার ফের বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু আর ঘরে ফেরা হল না বোলপুর কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র বিশাল দাসের। মাসির ছেলের সঙ্গে শনিবার দুপুরে দুর্গাপুর ব্যারেজে দামোদরের বর্ধমান ক্যানেলে স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে গেলেন বছর ঊনিশের বিশাল। 


এদিকে, গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। ভরা বর্ষায় ও ডিভিসির জল ছাড়ার জেরে এমনিতেই ফুলেফেঁপে রয়েছে দামোদর। এর মধ্যেই দামোদরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেলেন যুবক। এখনও কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি তাঁর। ইতিমধ্যেই পুলিশের বিশেষ উদ্ধারকারী দল জলে নেমে তল্লাশি শুরু করেছে। 


প্রতি বছরই বর্ষার সময় দামোদর তার ভয়াল রূপ ধারণ করে। তার উপর দোসর হয় ডিভিসির ছাড়া জল। সেই জলে দামোদরের নিম্ন অববাহিকার অধিকাংশ গ্রামই প্লাবিত হয়। সমস্যা আরও প্রবল আকার ধারণ করে ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ালে।  এবছর নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে সেই সমস্যা আরও প্রবল রূপ ধারণ করেছে। 


এদিকে, দামোদরের ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা দোফসলি ও তিনফসলি জমি। চোখের সামনে দামোদরের গর্ভে জমি চলে যেতে দেখে মাথায় হাত চাষিদের। এমনকী যে কোনও দিন চাষিদের সেচের একমাত্র ভরসা রিভার পাম্পও তলিয়ে যেতে পারে দামোদরের গর্ভে, এমনই আশঙ্কা করছেন চাষিরা। অবিলম্বে পাড় বাঁধানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। আপাতত ভেটিভার ঘাস লাগিয়ে ভাঙন আটকানোর চিন্তাভাবনা করছে প্রশাসন।