সন্দীপ সরকার, কলকাতা: স্বাস্থ্যসাথীর পর স্বাস্থ্য ইঙ্গিত। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষকে সুচিকিৎসা দিতে নতুন প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে সরকারি হাসপাতাল বা মেডিক্যালে না গিয়ে গ্রামে বসেই অনলাইন পোর্টালে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ পাচ্ছেন রোগী। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, গত ৪ মাসে লক্ষাধিক মানুষ এই প্রকল্পে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পেয়েছেন।


সরকারি হাসপাতাল বা মেডিক্যালে না গিয়ে গ্রামে বসেই বিনা খরচে মিলছে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ। সৌজন্যে রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’। 


প্রতিদিন প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে রোগমুক্তির জন্য কলকাতা ও জেলার সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভিড় জমান বহু মানুষ। এতে একদিকে যেমন চাপ বাড়ে হাসপাতালগুলিতে, অন্যদিকে গ্রাম থেকে শহরে এসে কখনও কখনও দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয় রোগীদের। 


এই পরিস্থিতিতে সরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপ কমাতে ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের গ্রামের মানুষের নাগালে আনতে এই প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। টেলি মেডিসিনের অন্তর্ভুক্ত এই প্রকল্পের গোটা কর্মকাণ্ডই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের সেন্ট্রাল সার্ভার থেকে।  


কীভাবে কাজ হচ্ছে এই স্বাস্থ্য ইঙ্গিত প্রকল্পে? 


নিজের গ্রামের সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র বা সাব সেন্টারে যাবেন রোগী। সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স রোগীকে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সামনে বসিয়ে স্বাস্থ্য ইঙ্গিতের পোর্টাল চালু করবেন। রোগীর সমস্যা সেখানে আপলোড করে দেবেন তিনি। 


এরপর সংশ্লিষ্ট বিষয়ের চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হবে রোগীর। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল, পিজি, মালদা মেডিক্যালের যে চিকিৎসক তখন অনলাইন রয়েছেন তার সঙ্গে ওয়েব ক্যামের মাধ্যমে সরাসরি চিকিৎসকের সরাসরি কথা বলতে পারবেন, প্রেসক্রিপশন লিখে দেবেন চিকিৎসক। 


এনআরএস হাসপাতালের চিকিৎসক অর্কেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, এভাবেই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে এখন। গ্রামাঞ্চলের মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন। 


সূত্রের খবর, সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যালের চিকিৎসকদের সপ্তাহে ২ দিন করে এই পরিষেবা দেওয়ার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে।  এনআরএস  হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সমীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রোস্টার বানিয়ে দিচ্ছি, সেই মতো অনলাইন থাকছেন চিকিৎসকরা। 


স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, গত ৪ মাসে লক্ষাধিক মানুষ এই প্রকল্পে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পেয়েছেন। তবে চিকিৎসকদের একাংশের অভিমত, পোর্টাল আরও আপডেট করতে হবে। অনেকসময়ই, এক রোগের সমস্যার কল চলে যাচ্ছে ভিন্ন চিকিৎসকের কাছে।  


আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে ভোগান্তির নালিশ বরদাস্ত নয়, নার্সিংহোম ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কড়া বার্তা রাজ্য সরকারের