চণ্ডীগড় (পঞ্জাব) : পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আগামীকালই শপথ নিচ্ছেন কংগ্রেস বিধায়ক চরণজিৎ সিংহ চান্নি। বেলা ১১টায় রয়েছে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহর জায়গায় দায়িত্ব নিতে চলা এই চরণজিৎ সিংহ চান্নি আসলে কে তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে রাজনৈতিক মহলে।


পঞ্জাবের প্রথম দলিত মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন চরণজিৎ। সর্বোচ্চ এই পদ পাওয়ার আগে রাজ্যের টেকনিক্যাল এডুকেশন দফতরের মন্ত্রী ছিলেন ৫৮ বছরের এই বিধায়ক। তিনি চমকৌর সাহিব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনবারের নির্বাচিত বিধায়ক।


এর আগে ২০১৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পঞ্জাব বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে তিনি ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহর মন্ত্রিসভায় আসেন। ২০১৮ সালে এক মহিলা আইএএস অফিসারকে একটি আপত্তিকর টেক্সট পাঠানোর অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও ওই মহিলা কোনও অভিযোগ জানাননি। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এপ্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, বিষয়টি মিটে গেছে। যদিও চলতি বছরের মে মাসে পঞ্জাবের মহিলা কমিশন এই কেসে রাজ্য সরকারের জবাব চেয়ে নোটিস পাঠালে নতুন করে বিষয়টি সামনে আসে।


প্রসঙ্গত, আজ কিছু আগেই কংগ্রেসের তরফে পঞ্জাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান নেতা হরিশ রাওয়াত ট্যুইটারে লেখেন, এটা ঘোষণা করতে আমি সন্তোষ বোধ করছি যে সর্বসম্মতভাবে পঞ্জাবের পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন চরণজিৎ সিংহ চান্নি।    


বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে আচমকাই সরে দাঁড়ান ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত পঞ্জাবের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রাহুল গাঁধীর বাসভবনে বৈঠক হয়। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল ও অম্বিকা সোনিও বৈঠকে হাজির ছিলেন। বৈঠকে সিধু, জাখড়, সুখবিন্দর সিংহ রান্ধওয়া সহ বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা যায়। সুনীল জাখড় এগিয়ে থাকলেও তাঁর নামে বেশ কয়েকজন বিধায়কের আপত্তি রয়েছে বলে জানা যায়।


এরই মধ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোতি সিংহ সিধুকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বিবেচনা করা হলে তার তীব্র বিরোধিতা করেন অমরিন্দর। তিনি সিধুকে অদক্ষ ও জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক আখ্যা দিতেও ইতস্তত করেননি। এদিকে দলের অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব অম্বিকা সোনিও পঞ্জাবের। তাই কংগ্রেস নেতৃত্ব আগামী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত অম্বিকা সোনিই মুখ্যমন্ত্রী পদের দায়িত্ব গ্রহণ করুন, এমনই চেয়েছিল। কিন্তু, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হতে অস্বীকার করেন অম্বিকা। এরপর ভেসে আসে  সুখজিন্দর সিংহ রাণধওয়ার নাম। কিন্তু সূত্রের খবর, তাঁর নামে আপত্তি জানান দলীয় কয়েকজন বিধায়ক এবং কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। এর কিছু পরেই প্রকাশ্যে আসে পঞ্জাব কংগ্রেসের অন্যতম দলিত মুখ চরণজিৎ সিংহ চান্নির।