কলকাতা: সময়ে ঋণ (Loan) মেটাতে না পারায় মহিলাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল বেসরকারি ব্যাঙ্কের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার হরিদেবপুর থানায় (Haridevpur Police Station) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। তাঁর দাবি, ২০১৯-এর মে মাসে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ফ্রিজ কিনতে ১২ হাজার টাকা ও মোবাইল কিনতে ৩০ হাজার টাকা লোন নেন তিনি। ২০২০-র ডিসেম্বর পর্যন্ত ইএমআই দিতে পারলেও করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ককে তিনি জানান, এখনই পুরো টাকা মেটাতে পারবেন না তিনি। মহিলার অভিযোগ, ২০২১-এর নভেম্বর মাস থেকে ব্যাঙ্কের তরফে কোনও কর্মী প্রথমে তাঁকে ফোনে গালিগালাজ করেন। পরে হোয়াটস্ অ্যাপে তাঁকে কু-প্রস্তাব দেওয়া হয়। ঘটনায় ব্যাঙ্কের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।


ওই মহিলার দাবি, তাঁকে বিশ্রী, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হচ্ছে। অন্য ছেলেদের দিয়ে কুপ্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। তাঁর আরও দাবি তিনি চার হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। এখন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, তা সুদে আসলে বেড়ে হয়েছে এগারো হাজার টাকা। আর সেই টাকা একসঙ্গে জমা দিতে হবে। তাঁকে গালিগালাজ ও কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তিনি ব্যাঙ্ক কর্মীর বিরুদ্ধে এনেছেন। এই ঘটনায় তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। 


এদিকে, চলন্ত ট্রেনে ফের মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগে এবিপি আনন্দের খবরের জেরে  ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দমদম GRP-র হাতে পাকড়াও অভিযুক্ত। জিআরপি সূত্রে খবর, ধৃত সঞ্জয়কুমার সাউয়ের বাড়ি রহড়ার কল্যাণনগরে।শুক্রবারের পর শনিবারও একই উদ্দেশ্যে দমদম স্টেশনে আসে অভিযুক্ত।তখনই, তাঁকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। অভিযোগকারিণী বলেছেন, এখনও ভয়েই আছি। কাজে বেরতে পারব কিনা বুঝতে পারছিনা। চাই অভিযুক্ত দণ্ডনীয় শাস্তি পাক। 


জিআরপি সূত্রে খবর, কাশীপুরে খালাসির কাজ করেন সঞ্জয়কুমার সাউ।এর আগেও অভিযুক্ত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে।
শুক্রবার ডাউন শান্তিপুর লোকালের, ঘটনা ফেসবুক লাইভে তুলে ধরেন অভিযোগকারিণী। অভিযোগকারিণীর দাবি, শুক্রবার সন্ধে ৬টা ৩৫ নাগাদ ফুলিয়া থেকে ডাউন শান্তিপুর লোকালে ওঠেন তিনি। গন্তব্য ছিল নিউ আলিপুর। মহিলার দাবি, সোদপুর পর্যন্ত মহিলা কামরায় লোকজন থাকলেও তারপরই খালি হতে শুরু করে কামরা। সাড়ে আটটার একটু আগে, ট্রেন যখন দমদমে ঢোকে, তখন অন্য প্লাটফর্মে মাঝেরহাটগামী একটি ট্রেনের ঘোষণা শুনে কামরা থেকে নামেন তিনি। কিন্তু ফের উঠে পড়েন ডাউন শান্তিপুর লোকালেই। মহিলার অভিযোগ, মিনিট খানেক পরেই এই ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করেন। গায়ে হাত দেওয়া থেকে মারধর, অশালীন অঙ্গভঙ্গি বাদ যায়নি কিছুই। মহিলার দাবি, ট্রেন থামাতে বার দুয়েক চেন টানলেও কোনও লাভ হয়নি। অভিযোগকারিণীর দাবি, তখন ফেসবুক লাইভ শুরু করেন তিনি।ছবি ক্যামেরাবন্দি হচ্ছে বুঝতে পেরে মহিলার ফোন ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত।