আবির দত্ত, ঝিলম করঞ্জাই ও রঞ্জিত পাল, কলকাতা: স্বাস্থ্যসাথী (Swatha Sathi) কার্ড ছিল থাকা সত্ত্বেও বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম তরুণকে এসএসকএম হাসপাতালে (SSKM) ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ। পরে আহত তরুণকে ভর্তি করা হয় কালীঘাটের (Kalighat) এক নার্সিংহোমে। যদিও এসএসকেএম (SSKM) কর্তৃপক্ষের দাবি, বেড না থাকায় ভর্তি নেওয়া যায়নি।


রাতের শহরে দুর্ঘটনা। আর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রোগীর পরিবারের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ!  দুর্ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাত ৯টা ২০ নাগাদ।


পুলিশ সূত্রে খবর, গড়িয়া স্টেশনের (Garia Station)  কাছে নতুন দেওয়ারা এলাকায় সাইকেল নিয়ে রাস্তা পেরনোর সময় পেশায় ল্যাব টেকনিশিয়ান পারমিতা সাঁপুইকে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা মারে একটি মোটরবাইক। গুরুতর আহত হন ২১ বছরের ল্যাব টেকনিশিয়ান। বাইক থেকে ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান বাইক চালক, সোনারপুরের বাসিন্দা, ১৯ বছরের সুদীপ্ত পালও। 


বাইকের পিছনে যে আরোহী ছিলেন, তাঁর আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিত্‍সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। পিয়ারলেস হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় সাইকেল আরোহী তরুণীর। আর জখম বাইক চালকের পরিবারের অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ভর্তি নিতে চায়নি পিয়ারলেস হাসপাতাল। কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নেয়। 


যদিও পিয়ারলেস হাসপাতালের তরফে দাবি, অভিযোগ সঠিক নয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ইন্দ্রনীল দাশগুপ্তের কথায়, এখানে পুলিশ নিয়ে এসেছিল। একজন মারা যায়। বাইক চালকের মথায় ও ঘাড়ে গুরুতর চোট ছিল। ভেন্টিলেশনে রেখেছিলাম। সকালে ওঁর বাবা-মা এসে এসএসকেএমে নিয়ে যায়। কোনও পরিষেবা রিফিউজ করা হয়নি।


পিয়ারলেস হাসপাতালে বিল আরও বাড়ার আশঙ্কায় শনিবার ভোরে আহত সুদীপ্তকে ভেন্টিলেটর যুক্ত অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁর পরিবার নিয়ে আসে এসএসকেএম হাসপাতালে। অভিযোগ, এখানেও প্রায় ৬ ঘণ্টা ফেলে রেখে ভর্তি নেওয়া হয়নি। 


যদিও এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ভেন্টিলেশন থেকে বের করে তারপর রোগীকে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ভর্তির জন্য আনা উচিত। বেড না থাকায় ভর্তি করা যায়নি। এরসঙ্গে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের কোনও সম্পর্ক নেই। শেষপর্যন্ত শনিবার বেলা ১২টার পর আহত বাইক চালককে কালীঘাটের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।