উত্তর ২৪ পরগনা: গত শুক্রবার পুলিশি তলবে সাড়া না দেওয়ায় ৮ জুলাই অর্থাৎ আজ মঙ্গলবার, সকাল ১১টায় মোহনপুর থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল বিজেপি নেতাকে। তবে আজ পুলিশি তলবে কি সাড়া দেবেন কিনা কৌস্তভ বাগচী? এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে তার আগেই ব্যারাকপুর আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন পেলেন কৌস্তভ বাগচী।
আরও পড়ুন, '৯ জুলাই ধর্মঘটের দিন অফিসে হাজিরা দিতেই হবে..', সরকারি কর্মীদের হাজিরা নিয়ে কড়া নির্দেশ নবান্নের
ঠিক কী হয়েছিল ?
মূলত উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের শাসানির অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচীর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় বিজেপি নেতাকে নোটিস দেয় মোহনপুর থানা। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কৌস্তভ বাগচী। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাপানউতর। চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে মঙ্গলবার তুলকালাম বাঁধে ব্যারাকপুরের সারদা মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে। এই ঘটনার পরেই বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচীকে নোটিস পাঠিয়েছিল মোহনপুর থানা।বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী বলেন, এই যে ছেলেটাকে দেখা যাচ্ছে যে চড় মারছে, এর সঙ্গে তো আমার কোনও লেনাদেনাও নেই। আমি ওকে চিনিও না। তৃণমূল এই বিষয়টাকে একটা রাজনৈতিক রঙ এবং উদ্দেশ্য়প্রণোদিতভাবে আমার মানহানি করার জন্য়।কৌস্তভ বাগচী আবার একটি ছবি সামনে এনে দাবি করেছেন যাঁকে চড় মারতে দেখা গেছে, তিনি তৃণমূলের কর্মী।
আর কত মিথ্যে কথা বলবে ?
সম্প্রতি কৌস্তভ বাগচী বলেছিলেন, দেখা যাচ্ছে একটি ভিডিও-তে, আমি যখন কথা বলছি, পাশ থেকে একজন মেডিক্যাল স্টাফকে এরা মারছে। আমি আমার ফেসবুকে পোস্ট করেছি, সেখানে আমি দেখিয়েছি, যে ছেলেটা তৃণমূলের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী এবং তৃণমূলের কাউন্সিলরের সঙ্গে কাজ করে।এবং ছেলেটা একজন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। রাতে ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক, ব্যারাকপুরের বিধায়ক এবং ব্যারাকপুরের চেয়ারম্যান উত্তম দাস এরা মিলে একটা সাংবাদিক বৈঠক করে। আমার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তোলে। তারা বলেন ডাক্তার ঘোষকে মারধর করেছি। ' কিন্তু যাবতীয় এই অভিযোগ উড়িয়ে ভিডিও পোস্ট করেছেন কৌস্তভ। কৌস্তভের দাবি, ওই ভিডিওতে ডাক্তার ঘোষ বলছে, আপনি কিছুই করেননি। এটা তার স্বীকারোক্তি। এরপরেই কৌস্তভের প্রশ্ন আর কত মিথ্যে কথা বলবে, আর কত নিচে নামবে তৃণমূল কংগ্রেস ?'