উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: জল্পনায় সিলমোহর! মুকুল রায়ের (mukul roy) ইস্তফার পর পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (PAC) চেয়ারম্যান (chairman) পদে বসছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক (mla) কৃষ্ণ কল্যাণী (krishna kalyani)। দলত্যাগ বিরোধী আইনে শুনানির মধ্যেই তাঁকে পিএসি চেয়ারম্যান পদে  বসানোর সিদ্ধান্ত নতুন বিতর্ক তৈরি করতে পারে, ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 


কেন বিতর্ক?


দিনপাঁচেক আগে রায়গঞ্জের বিধায়ককে পিএসি-র সদস্য মনোনীত করা হয়েছিল। তখনই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কৃষ্ণ কল্যাণীকে পিএসি চেয়ারম্যান করা হলে তাঁরা ফের আদালতে যাবেন। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের ক্ষেত্রে যা হয়েছিল, কৃষ্ণ কল্যাণীর ক্ষেত্রেও তাই হবে জানিয়ে দেন শুভেন্দু। শেষ বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রতীকে জিতলেও পরে তৃণমূলে যোগ দেন রায়গঞ্জের বিধায়ক, দাবি পদ্মশিবিরের। দলত্যাগ-বিরোধী আইনে তাঁর বিধায়ক-পদ খারিজের জন্য স্পিকারের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তার শুনানির মধ্যেই কৃষ্ণ কল্যাণীকে পিএসি চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত। অধ্যক্ষ অবশ্য আগেই জানিয়েছেন, পিএসি চেয়ারম্যান নিয়োগ তাঁর এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। 


পদত্যাগ মুকুলের


এর আগে পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়ের নিয়োগ নিয়ে আইনি লড়াই দেখেছে বঙ্গ বিধানসভা। একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সতীর্থ মুকুল একুশের বিধানসভা ভোটে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে বিজেপির চিহ্নে জিতে এসেছিলেন। কিন্তু ফলপ্রকাশের অল্প পর থেকেই তাঁকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। দলবদলে ফের তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে তুলে নিয়েছেন মুকুল, দাবি করে বিজেপি শিবির। সঙ্গে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি জানিয়েও সরব হয়। কিন্তু বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই আর্জি খারিজ করে দেন। পরে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্য বিজেপি রাজ্য় নেতারা। আবেদনের প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা বলে আদালত। কিন্তু দ্বিতীয় বারও একই রায় বহাল রেখে বিধানসভার স্পিকার জানিয়ে দেন, মুকুল রায় বিজেপিতেই রয়েছেন।
এই টানাপড়েনের মাঝে দিনসাতেক আগে পিএসি চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। শারীরিক অসুস্থতার জেরেই ইস্তফা, জানান তিনি। এর পর কাকে পিএসি চেয়ারম্যান করা হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছিলই। প্রথা অনুযায়ী বিরোধী দলের কাউকে ওই পদে বসানোর কথা। 
কিন্তু কৃষ্ণ কল্যাণী কোন দলে এখনও নিষ্পত্তি হয়নি বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে চড়তে পারে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারা। 


আরও পড়ুন:কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়া অভিযুক্তের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ আদালতের