কৃষ্ণনগর: কলেজ ছাত্রীকে গুলি করে খুন কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার। কৃষ্ণনগরের এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বাংলাকে। পুলিশের জােলে মূল অভিযুক্ত দেশরাজ সিংহর মামা। গুজরাতের জামনগর থেকে গ্রেফতার দেশরাজের মামা কুলদীপ সিংহ। খুনের কথা জেনেও দেশরাজকে আশ্রয়, পালাতে সাহায্যের অভিযোগ। ভুয়ো নথি বানিয়ে দেশরাজকে পালাতে সাহায্য করেন মামা, দাবি পুলিশ সূত্রে। উত্তরপ্রদেশের দেউড়িয়ার বাসিন্দা কুলদীপ প্রাক্তন সেনা কর্মী। বর্তমানে কুলদীপ সিংহ গুজরাতের জামনগরে কর্মরত। ছাত্রী খুনের প্রায় এক সপ্তাহ পরও অধরা মূল অভিযুক্ত দেশরাজ সিংহ। 

উল্লেখ্য, গত ২৫ অগাস্ট কৃষ্ণনগরের মানিকপাড়ায় বাড়িতে ঢুকে কলেজ ছাত্রীকে গুলি করে খুন করা হয়। কলেজ ছাত্রী ঈশিতা মল্লিককে খুনের অভিযোগ এক সময়ের সহপাঠী দেশরাজ সিংহের বিরুদ্ধে। 

২১ বছরের যুবকের ১৫ মিনিটের অপারেশন। তিন তিনটে গুলিতে ঝাঁঝরা কৃষ্ণনগরের কলেজ ছাত্রী। বাড়িতে ঢুকে ঈশিতা মল্লিককে গুলি করে খুনের ঘটনায়। ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও, এখনও অধরা অভিযুক্ত দেশরাজ সিং। ওই ঘটনায় গুজরাতের জামনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দেশরাজের মামা কুলদীপ সিং-কে। ধৃত কুলদীপ সিং প্রাক্তন সেনা কর্মী। উত্তরপ্রদেশের দেউড়িয়ায় হলেও বর্তমানে তিনি জামনগরে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ সূত্রে দাবি, কৃষ্ণনগরে খুন করে পালিয়ে আসার কথা জানার পরও দেশরাজ সিং-কে আশ্রয় দেন তিনি। এমনকী, ভুয়ো নথি বানিয়ে দেশরাজকে পালাতেও সাহায্য করেছেন তাঁর মামা। তবে মেয়েকে খুনের ঘটনায় প্রথম গ্রেফতারিতে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে পরিবার। নিহত কলেজ ছাত্রীর বাবা দুলাল মল্লিক বলেন, ''আমি চাই যারা এর সঙ্গে জড়িত তাঁদের ধরা হোক। উপযুক্ত শাস্তি পাক। আর এটা আমার কাছে খুব ভাল খবর পেয়েছি একটা। আরও সবাই ধরা পড়ুক। ++ ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। ধরা পড়বেই।'' পুলিশ সূত্রে খবর, গুলি করে খুন করার ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ রবিবার বাবাকে ফোন করে অভিযুক্ত দেশরাজ। বলে, তার কিছুই ভাল লাগছে না, সে উত্তরপ্রদেশে ফিরতে চায়। ছেলের কথামতো ২৪ অগাস্ট, রবিবারের পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসে টিকিট কেটে দেন বাবা। দুপুর ৩.১৫ নাগাদ নৈহাটি থেকে ট্রেনে ওঠার কথা ছিল দেশরাজের। কিন্তু সে ট্রেনে ওঠেনি। অথচ, সন্ধেয় বাবা ফোন করলে দেশরাজ জানায়, সে ট্রেনে উঠে গেছে। তার বাবার দাবি, এরপর থেকে ছেলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।  পুলিশ সূত্রে খবর, দেশরাজ সিংয়ের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন শেষবার দেখা গেছে উত্তর ২৪ পরগনার জেটিয়ার বাড়ির কাছে। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর খোঁজ পায়নি পুলিশ। দেশরাজের হদিশ পেতে জেরা করা হচ্ছে তারা মামাকে।