রঞ্জিত হালদার, কুলতলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অবশেষে গ্রেফতার কুলতলির (Kultali Incident) 'টানেল ম্যান'। গ্রেফতার নকল সোনার কারবারি, সাট্টা ব্যবসায়ী সাদ্দাম সর্দার। কুলতলিতে পুলিশের জালে সুড়ঙ্গ-রহস্যের 'কীর্তিমান'। ২ দিন ধরে ভেড়ির ধারে নির্জন আলাঘরে গা ঢাকা সাদ্দামের। লোকচক্ষুর আড়ালে গিয়েও হল না শেষরক্ষা! কাছে থাকা মুঠোফোনই হয়ে উঠল সাদ্দামের হাতকড়া! টাওয়ার লোকেশন দেখে খোঁজ পেয়ে গ্রেফতার করল পুলিশ, খবর সূত্রের


আশ্রয় দিয়েছে সিপিএম নেতা?
সাদ্দামকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ স্থানীয় সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে। পুলিশের হাতে ধৃত সিপিএম নেতা মান্নান খান। পুলিশের উপর হামলা ও প্রতারণাকাণ্ডে মোট ৫ জন গ্রেফতার। এই ৫ জন ছাড়াও আরও অভিযুক্তদের খোঁজ করছে পুলিশ। নকল সোনা ছাড়াও মুঘল যুগের প্রত্নসামগ্রী বিক্রির অভিযোগ রয়েছে সাদ্দাম গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। এখনও অধরা সাদ্দামের ভাই সায়রুল। সাদ্দামের খোঁজে যাওয়া পুলিশের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে সায়রুলের বিরুদ্ধে। ধৃত সাদ্দাম সর্দারের ১২দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ আদালতে। ধৃত সিপিএম নেতা মান্নানের ৫দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ বারুইপুর মহকুমা আদালতের।


একাধিক ধারায় মামলা:
সাদ্দামের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, হিংসা ছড়ানোর ধারা-সহ একাধিক অভিযোগে এফআইআর করা হয়েছে। সরকারি আইনজীবী জানান, ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয় কুলতুলি কাণ্ডে। সাদ্দাম সর্দার ও মান্নান খানকে আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। মামলায় জয়নগর ও কুলতুলি থানায় এদের নামে একাধিক মামলা আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও অস্ত্র উদ্ধার হয়নি ঠিকই কিন্তু পুলিশকে লক্ষ্য করে যে আগ্নেয়াস্ত্র দেখানো হয় তার ভিডিও ফুটেজ আছে বলে আদালতে উল্লেখ করেন সরকারের আইনজীবী।


জামিন চেয়ে 'প্রতারক' সাদ্দামকে সমাজসেবী বলে সওয়াল করেছেন তাঁর আইনজীবী। সূত্রের খবর, থানায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল পুলিশে হামলায় অভিযুক্ত সাদ্দাম সর্দারের। এদিন আদালতে আইনজীবী দাবি করেন, 'থানায় নিয়মিত যেত সাদ্দাম, সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই প্রমাণ মিলবে। সাদ্দাম সর্দারের আইনজীবী জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টিই বড় করে দেখানো হচ্ছে। সাদ্দামের কাছে কোনও অস্ত্র নেই বলে দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী। তাঁর আরও দাবি, ভুল তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ গিয়েছিল। সাদ্দামকে ধরতে গেলে গ্রামবাসীরা তার কারণ জিজ্ঞাসা করেছিলেন বলে দাবি সাদ্দাম সর্দারের আইনজীবীর। অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, ১১৩ টেররিস্ট অ্যাক্ট দেওয়া হয়েছে যা যুক্তিহীন। দুই মহিলার জামিনের আবেদন জানানো হয়েছে।


ধৃত সিপিএম নেতা মান্নান খানের আইনজীবীর দাবি, এই ঘটনায় কোথাও মান্নানের নাম নেই। পুলিশের বিরুদ্ধে হামলাতেও তাঁর নাম নেই। তাঁর ভেড়ির আশেপাশে কেউ থাকলে তার দায় মান্নানের নয় বলে দাবি তাঁর আইনজীবীর।


আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, বেলাইন ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের ১২ কামরা, বহু হতাহতের আশঙ্কা