সুকান্ত দাস, গৌতম মণ্ডল, পার্থপ্রতিম ঘোষ, মৈপীঠ: গত কয়েকদিন ধরেই কুলতলির এই গ্রামে বাঘের আনাগোনা টের পাচ্ছিলেন বাসিন্দারা। লোকালয়ে মিলছিল পায়ের ছাপ। রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল গ্রামবাসীদের। রবিবার রাতে খাঁচা পাতে বন দফতর। ফাঁদে রাখা হল হৃষ্টপুষ্ট এক ছাগলকে। সেই লোভে কি ধরা দিল দক্ষিণরায় ?
বাঁচতে গাছের উপর উঠে পড়েন বনকর্মীরা
কুলতলির মৈপীঠের গৌড়ের চক গ্রামে দেখা দিয়েছিল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। বন কর্মীদের দাবি, তাঁদের দিকে তেড়েও আসে দক্ষিণরায় ! তবে শেষ পর্যন্ত বন দফতরের পাতা ফাঁদে পা দেয়নি বাঘ মামা। আতঙ্ক ছড়িয়ে জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল।
শেষপর্যন্ত বাজি ফাটিয়ে, টিন বাজিয়ে, বাঘকে তাড়া করলে, মাকরি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে, আজমলমাড়ি জঙ্গলে ফিরে যান দক্ষিণ রায়।
নদীপথে সাঁতরে আজমলমাড়ির জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে বাঘ। বন দফতরের ক্যামেরায় দরা পড়ে সেই ছবি। তার আগে বন কর্মীদের দিকে তেড়েও এসেছিল বাঘ। বাঁচতে গাছের উপর উঠে পড়েন বনকর্মীরা। গত কয়েকদিন ধরেই গ্রামে বাঘের আনাগোনা টের পাচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা। লোকালয়ে মিলছিল পায়ের ছাপ, খাঁচার ফাঁদে পা দেয়নি দক্ষিণ রায়।
অন্যদিকে, কুলতলির পাশাপাশি পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার উপেন্দ্রনগরে ঠাকুরান নদীর চরেও মিলেছে বাঘের পায়ের ছাপ। তিনদিন আগে গ্রামবাসীরা পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছেন। খাঁচা না পাতলেও পুলিশ ও বন দফতরের তরফে চলছে টহল। বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।
তিন দিন আগে স্থানীয় বাসিন্দারা বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পায় নদীর চরের নরম মাটিতে। তারপর থেকে আতঙ্কে এলাকার মানুষ। পুলিশ ও বনদপ্তরের পক্ষ থেকে এলাকায় টহল দেওয়া হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সতর্ক প্রচার করছে পুলিশ। তবে বনদফতরের অনুমান, বাঘটি পাশের ধনচির জঙ্গল থেকে বেরিয়েছিল। কিন্তু আবারও জঙ্গলে ঢুকে গেছে। তবে বনকর্মীরা এলাকায় মোতায়েন আছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন :