কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: সরকারি আবাসনে খুন হলেন রেলকর্মী। ঘটনাস্থল কুলটি। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। মৃতের নাম চন্দন পাসোয়ান। স্থানীয় সূত্রে খবর, কুলটির চিনাকুড়ি এলাকায় রেলের আবাসনে একাই থাকতেন রেলের বিদ্যুৎ বিভাগের ওই কর্মী। তাঁর পরিবার থাকে হাওড়ায়। গতকাল রাত ১০টা নাগাদ আবাসনের ভিতর থেকে বছর পঞ্চান্নর রেল কর্মীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। মাথাতেও আঘাতের চিহ্ন ছিল। খুনের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণও রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


সম্প্রতি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তাঁর গাড়ির চালকের স্ত্রী। শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির সঙ্গে তাঁর গাড়ি চালকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করলেন গাড়ির চালকের স্ত্রী।


ওই মহিলার অভিযোগে তাঁর বক্তব্য, গতকাল অর্থাৎ বুধবার শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির সঙ্গে নাকি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন চন্দনা বাউড়ির গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুণ্ডু। তিনি সম্পর্কে অভিযোগকারিণীর স্বামী। তাঁর বক্তব্য, চন্দনা বাউড়ি ও কৃষ্ণ কুণ্ডু দু'জনেই আগে থেকে বিবাহিত, এমনকী দু'জনেরই সন্তানও রয়েছে। 


অভিযোগপত্রে  এমনটাই উল্লেখ করেছেন বিধায়কের গাড়িচালকের স্ত্রী। তাঁর আরও অভিযোগ, চন্দনা বাউড়ির ভাই তাঁকে ফোন করে গ্রেফতারির হুমকিও দেন। কোথায় গিয়ে বিয়ে হয়েছে তা অবশ্য তিনি জানেন না বলে দাবি গাড়ি চালকের স্ত্রীয়ের। তাঁর দাবি, চার বছর ধরে তাঁকে বাপের বাড়ি যেতে দেন না স্বামী। বাপের বাড়ির যাওয়ার কথা বললে নাকি অত্যাচারিত হতে হত, এমনটাও অভিযোগ তাঁর। কিন্তু গতকালই নাকি হঠাৎ বাপের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তাঁর স্বামী।


অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদ লালগোলার বাখরপুর এলাকায় এমনই এক ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই স্বামীর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় লালগোলার বাখরপুর এলাকায়। আর এই অভিযোগের জেরে অত্যাচারের শিকার হন অভিযুক্ত গৃহবধূ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই সঙ্গে স্বামীর মৃত্যুর অভিযোগে ওই গৃহবধূকেও গ্রেফতার করেছে লালগোলা থানার পুলিশ।