আশাবুল হোসেন ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: রাজ্যে ৭ কেন্দ্রে নির্বাচন আটকাতে মরিয়া রাজ্য বিজেপি। গত দুদিন ধরে কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশের উপস্থিতিতে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সাংগঠনিক বৈঠক চলছে। 


এই মুহূর্তে উপনির্বাচনের পরিস্থিতি নেই, বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাল বঙ্গ বিজেপি। রাজ্য নেতৃত্বের তরফে বলা হয়েছে-- করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে বন্ধ লোকাল, কম যাত্রী নিয়ে চলছে বাস। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে পুজোর মাসেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। করোনা বিধি দেখিয়ে বিজেপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এই মুহূর্তে ভোট না হলেও, সঙ্কটে পড়বে না রাজ্য সরকার।


এরকমই ৮টি বিষয়ের উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে রিপোর্ট দিল বঙ্গ বিজেপি, খবর দলীয় সূত্রে।


গত ২৩ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, রাজ্যে ভোটের পরিস্থিতি রয়েছে। আমরা চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করুক কমিশন।


এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের সাত বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ভোট চেয়ে ফের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চাইছে তৃণমূল। শুক্রবার চাওয়া হয়েছে সময়। সম্মতি মিললে যাবেন পাঁচজন সাংসদ।


৫ নভেম্বরের মধ্যে কোনও এক বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই রাজ্যের পাঁচ বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত উপনির্বাচন ও দুই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট চাইছে তৃণমূল। 


তৃণমূলের কমিশনের কাছে দেখা করার প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, নির্বাচন কমিশনে তৃণমূল যেতেই পারে। আমরাও তো পুর নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলছি।


রাজ্যের যে পাঁচ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে সেগুলি হল-- নদিয়ার শান্তিপুর, কোচবিহারের দিনহাটা, দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা, ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা। এছাড়াও নির্বাচনের আগে প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায়, ভোট বাকি রয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে।


এই সাত কেন্দ্রে দ্রুত ভোটের দাবিতে, এর আগে ১৫ জুলাই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। ৬ অগাস্ট, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছেও একই দাবি জানিয়েছে তারা। কিন্তু এখনও রাজ্যের উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। তাই ফের কমিশনের দ্বারস্থ হতে চাইছে তৃণমূল। 


এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচন আটকাতে মরিয়া রাজ্য বিজেপি। বিজেপি নেতা তথাগত রায় ট্যুইট করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ, দুই-ই বাড়ল! লোকাল ট্রেন বন্ধ, স্কুল কলেজও তাই। ভ্যাকসিন নিয়ে টানাটানি অব্যাহত। এক কথায়, একটা থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন কী করে হবে? না না, এই অবস্থাতে কোনও ঝুঁকি নেওয়া মোটেই উচিত নয়।