উজ্জ্বল মুখোপাধ্য়ায় ও কৃষ্ণেন্দু অধিকারী: এবার লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election 2024) ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে 'চাপ' দেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন নৌশাদ সিদ্দিকি। বললেন, পরিবারের সদস্যদের দিয়ে ম্য়ানেজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অকারণে প্রচারে থাকতে চাইছেন। ৪ লক্ষ ভোটে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কাছে হারবেন, কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ। 


'ঘুঘুর বাসা ভাঙতে গেলে তো একটু সমস্যা হবে'


ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি বলেন,' আমাদের পরিবারকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চলছে। যে কাউকে দিয়ে হলেও আমাকে যাতে ম্য়ানেজ করা যায়।ডায়মন্ডহারবারকে যেভাবে কিছু মাফিয়া-গুন্ডা , মস্তানকে দিয়ে ঘিরে রেখেছে, সেটা ঘুঘুর বাসা ভাঙতে গেলে তো একটু সমস্যা হবে।'  টাকা, মন্ত্রিত্বের টোপ দিয়ে দলের টানার চেষ্টার অভিযোগ করেছিলেন আগেই। এবার লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে 'চাপ' দেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন নৌশাদ সিদ্দিকি। বললেন, পরিবারের সদস্যদের দিয়ে ম্য়ানেজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।'


'আমাদের পরিবারকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চলছে'


আপনি যাতে ডায়মন্ডহারবারে না দাঁড়ান, সেই কারণে পরিবারের লোকদের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছে তৃণমূল? এই প্রশ্নের উত্তরে নৌশাদ বলেন, 'আমি যে থেকে কনটেস্ট করব বলেছি,  তার পরে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে। আমাকে আটকানোর জন্য। আমার পরিবারের যারা আছে।তাদেরকেও অনেকক্ষেত্রে আমার কাছে খবর আসছে তাঁদেরকেও ম্য়ানেজ করার চেষ্টা হচ্ছে, যাতে আমাকে ওই কনটেস্ট করা থেকে বিরত রাখা যায়। যেভাবে পুলিশকে দিয়ে গুন্ডা-মস্তানকে দিয়ে হুমকি-চুমকি মিথ্য়া কেস দিচ্ছে বা তাদের ব্যবসা বাণিজ্যে ডিসটার্ব করার চেষ্টা হচ্ছে, সেই জন্য আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বলা আছে, যে বেশি মিটিং-মিছিলে আসার প্রয়োজন নেই, সময়ে আসবে। EVM মেশিনের সামনে গিয়ে বোতামটা টিপে দেওয়ার জন্য়ে।' 


আরও পড়ুন, সিপিএমের সঙ্গ না ছাড়ায় বঙ্গে 'হাত' ছাড়ছেন ? আজ মুখ খুললেন মমতা


৪ লক্ষ ভোটে অভিষেকের কাছে হারবে: কুণাল ঘোষ


এরপরেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, অকারণে প্রচারে থাকতে চাইছেন। নৌশাদ সিদ্দিকি, তাঁর এই কংগ্রেস দাদা, সিপিএম দাদাদের গ্য়াস খেয়ে ডায়মন্ডহারবারে দাঁড়াবে বলে বেচারা ভারী সমস্য়ায় পড়েছে। তাঁকে গাছে তুলে দিয়ে এখন মই কেড়ে নেওয়ার একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে মুখ ফুটে তো বলে ফেলেছে বড় বড় কথা। ওদিকে ৪ লাখ ভোটে হারবে অভিষেকের কাছে। এখন ওই কিছুটা প্রচার তৈরি করে, তারপর এদিক-ওদিক করে কী কী ভাবে পালানো যায়, কীভাবে সরে আসা যায়, সেইসব চেষ্টা করছেন। এইসব সস্তা রাজনীতি টেকে নাকি?