কলকাতা: রাজনীতিতে উষ্ণবাক্যবাণের পাশাপাশি, 'নিরুদ্দেশ কাউন্সিলর' পোস্টার দেখতে দেখতেও অনেকটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন রাজনীতিবিদ-সহ শহরবাসী। তবে এবার বিজ্ঞাপণের যুগে রাজনীতিতে স্থান নিয়েছে টি-শার্টও। প্রচারে, কখনও আবার খোঁচা দিতেও। গতবছর কয়লাপাচার মামলায় ইডি-র তলবের পর বেরিয়ে এসে, 'দেশের সবচেয়ে বড় পাপ্পু অমিত শাহ।' এখানেই শেষ নয়, প্রকাশ্য়ে এসেছিল বিতর্কিত সেই টি-শার্টও। তবে এবার বাইশ পেরিয়ে তেইশ সাল। অপেক্ষায় চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন।


আর এমনই সময় রাজ্যে একাধিক অশান্তির ইস্যুর পর এদিন চন্দ্রকোণার সভায় গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও তৃণমূলনেত্রীর বিরুদ্ধে নিশানা করেছেন। বলেছেন 'সাফ করতে হবে তৃণমূলকে, মমতাকে একটাও ভোট নয়।' আর এদিন তার পরনে টি-শার্টে এদিন লেখা ছিল, 'নো ভোট টু মমতা।' ফের বিতর্ক উসকে লাইমলাইটে এসেছে এবারেও টি-শার্ট। যদিও তারপর পরই পাল্টা খোঁচা দাগতে ছাড়েননি কুণাল ঘোষ। স্ট্যান্ডআপ জারি রেখেই এদিন ফের তার ট্যুইট। 






পঞ্চায়েতের যুদ্ধের ডঙ্কা বাজালেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, 'মোদি, শাহ, নাড্ডা দায়িত্ব দিয়েছিলেন। যে শুভেন্দু 
নন্দীগ্রামে মমতাকে হারাতে হবে। পারিনি কি বলুন। বাকি একটা কাজ আছে, মমতাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। আপনারা আছেন তো সবাই? যতদিন পর্যন্ত মমতাকে না উৎখাত করতে পারছি, ততদিন এই গেঞ্জি পরে যাব সব জায়গায়।' এবার নতুন স্লোগান যুক্ত করলেন, নো ভোট টু মমতা, তবে এই স্লোগানে তিনি কতটা বিরোধীদের জড়ো করতে পারবেন, তা কিন্তু যথেষ্ট সন্দেহের। সিপিএম-কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, তারা নেই বিজেপির সঙ্গে।


আরও পড়ুন, 'রামনবমীর শোভাযাত্রায় কল্যাণের ছায়াসঙ্গীরা কী করছিল ?' ট্যুইটে ছবি দিয়ে আক্রমণ সুকান্তর


এদিন চন্দ্রকোণার ঝাঁকরায় শুভেনদু অধিকারীর সভার অনুমতি ঘিরে ব্যাপক টানাপড়েন শুরু হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথমে সভার অনুমতি দিলেও, পরে তা বাতিল করে দেয় স্কুলের পরিচালন সমিতি। এরপর সভার অনুমতি চেয়ে বিজেপি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে।বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা, শর্তসাপেক্ষে সভার অনুমতি দিয়ে নির্দেশ দেন শান্তিপূর্ণভাবে সভা করতে হবে। যতটা সম্ভব পুলিশ মোতায়েন করবে রাজ্য সরকার।