কলকাতা: এবার কুণালের মুখে 'কেষ্ট-বাণী'! জেলবন্দি অনুব্রত (Anubrata Mondal), তাঁর ডায়লগ এবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) গলায়।
কেষ্টর 'চড়াম চড়াম' হুঁশিয়ারি এবার কুণালের গলায়। 'নেতৃত্ব একবার অনুমতি দিক, যেভাবে কুৎসা করছে, তার জবাব দেওয়া হবে', রেড রোডের ধর্নামঞ্চ থেকে হুঙ্কার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের গলায়। রেড রোডের ধর্নামঞ্চ থেকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের হুঁশিয়ারি, 'ভোটে লড়াই করে জেতার ক্ষমতা নেই, সিবিআই-ইডি দিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। নেতৃত্ব একবার অনুমতি দিক, সুদে-আসলে জবাব দেব।' তিনি আরও বলেন, 'যদি বীরভূমে ওই আবার নকুলদানা দিয়ে যদি, জল না দেওয়া হয়, যদি আবার চড়াম চড়াম ঢাকের বাদ্যি না শোনানো হয়, শুনতে হবে, কারণ এরা গণতন্ত্রে লড়ছে না। এরা আমাদের নেতা-নেত্রীদের নামে কুৎসা করছে। এরা CBI-ED দিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে।' এর সঙ্গে তাঁর সংযোজন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একবার অনুমতি দিন, রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনাব না। রেজাল্টের দিন DJ বাজাবো।'
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ঠিকই একই ভাবে চড়াম চড়াম করে ঢাক বাজানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই সময় বীরভূমে অনুব্রত দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা। এখন তিনি গরু পাচার মামলায় তিহারে বন্দি।
বিজেপি নেতা সজল ঘোষের দাবি, 'অনুব্রত এই শব্দটা রাজনীতিতে চালু করেছিল, আজ সে নিজেই ঢাক হয়ে গিয়ে তিহারে রয়েছে। কুণাল ঘোষ আগে পুলিশের ভ্যান বাজাত, আজ তিনি বলছেন চড়াম চড়াম করে বিরোধীদের ঢাক বাজাবেন। উনি বরং পিঠে তেল মেখে নিজেকে তৈরি করুন। তৃণমূলের সব নেতারা বাজারে প্ররোচনা ছড়াচ্ছেন, কুণাল ঘোষও তাই করছেন। ওঁরা বুঝতে পারছেন না মানুষ কাঠি নিয়ে রেডি আছেন। সুযোগ পেলেই বাজিয়ে দেবে।'
সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, 'কুণাল ঘোষ যখন জেলে ছিলেন তখন হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় পুলিশ প্রিজন ভ্যান বাজাত। আওয়াজটা ওঁর কানে লেগে আছে। অনুব্রতর থেকে শিখলেন নাকি প্রিজন ভ্যান থেকে শিখলেন আমার জানা নেই। এটা ২০২৪ সাল, ২০১১ সাল না। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ অনেক পরিণত হয়েছেন। সবদিক থেকে মানুষকে যন্ত্রণায় ফেলার যে কাজ তৃণমূল করেছে, তার বিরদ্ধে প্রতিরোধের প্রদীপের সলতে পাকানোর কাজও মানুষ শুরু করেছে।'
আরও পড়ুন: 'দল থাকলেই রোজগার হবে', দলীয় কর্মীদের কেন হুঁশিয়ারি লাভলির?