কলকাতা : বিজেপি ত্যাগী দুই বিধায়কের পাশে কেন বিরোধী দলনেতার আসন? প্রশ্ন তুলে রাজ্যপালের শপথে গরহাজির শুভেন্দুর ( Suvendu Adhikari ) । এই নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক তরজা। নাটক করছেন, পাল্টা জবাব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের ( Kunal Ghosh ) ।
‘বিজেপি ত্যাগী দুই বিধায়কের পাশে কেন আসন? ‘তৃণমূলে যোগ দেওয়া কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিশ্বজিৎ দাসের পাশে কেন আসন? ‘বিশেষ ভাবে এই দুই বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ‘কোন প্রোটোকলে এই দুই বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হল?’
‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদদের পিছনে আসন দেওয়া হয়েছে’ সাংবাদিক বৈঠক করে বললেন শুভেন্দু।
কুণালের পাল্টা
অসৌজন্যতার নজির বিরোধী দলনেতার। এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের তরফে। ' রাজ্যপালের শপথ। শুভেন্দু অধিকারী কোন সাগর-ছ্যাঁচা মানিক ? প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ। ' যেহেতু ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত যে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা পেয়ে এসেছেন, তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন পদে থেকেছেন তিনি ও তাঁর পরিবারের লোকজন, তাই এখন সকলের চোখে চোখ মেলাতে পারছেন না' বলেন কুণাল। তিনি আরও বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর 'কুকীর্তির কথা' ঠিক সময়ে রাজ্যপালের কাছে পৌঁছে যাবে।
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘বিরোধী দলনেতার পদমর্যাদার সঙ্গে সমঝোতা করতে পারব না। নন্দীগ্রামে হারের ব্যথা মানতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকেও তৃণমূল সাংসদদের পিছনে আসন দেওয়া হয়েছে। সুকান্ত মজুমদার সাংসদ হলেও তাঁকে তৃণমূল সাংসদদের পিছনে আসন দেওয়া হয়েছে। নিকৃষ্টতম রাজনীতি দেখল বাংলা’ বলেন শুভেন্দু। সেই সঙ্গে তিনি জানান, ‘রাজ্যপালের কাছে ৫ মিনিট সময় চেয়েছি শুভেচ্ছা জানানোর জন্য’।
আজ রাজ্যপাল পদে সি ভি আনন্দ বোস শপথ গ্রহণ করলেন। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সকাল পৌনে ১১টায় শপথগ্রহণ শুরু হয়। শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধী। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায়-সহ তৃণমূলের বিধায়ক, সাংসদরা।