কলকাতা: এবার কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) নিশানায় দলের নেতাদেরই একাংশ। দলের বেশ কিছু নেতার বক্তব্য নিয়ে ঘোরতর উষ্মা প্রকাশ করলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মমতা ও অভিষেককে নিশানা করলেও দলের কিছু নেতা উপযুক্ত জবাব দেন না বলে অভিযোগ কুণালের।


কী বলেছেন কুণাল?
তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্রের দাবি, 'শুভেন্দু ও বিজেপির কিছু নেতা কুরুচিকর ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেককে (Abhishek Banerjee) আক্রমণ করছেন। আমাদের কয়েকজন সিনিয়র নেতা, যাঁরা মন্ত্রিত্বে আছেন, তাঁরা পাল্টা আক্রমণ করছেন না। তাঁরা কেন ভাল সেজে থাকছেন, গোলগোল বক্তৃতা করছেন? কেন তাঁরা শুভেন্দুকে পাল্টা চোর বলবেন না? আমরা কয়েকজন আক্রমণ করছি, বাকি নেতারা কী করছেন?' তাঁর আরও প্রশ্ন, 'যাঁরা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকেন তাঁরা কী করছেন? তাঁরা কেন শুভেন্দু বা বিজেপিকে চোর বলছেন না? সরকারের সব সুবিধা নেব, একাধিক পদ নিয়ে বসে থাকব, আর গোলগোল বক্তৃতা করব, সেটা হবে না।' গিরিশ পার্কে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ।


এদিনই তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির একটি মন্তব্যে নিয়েও আক্রমণ শানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। সূত্রের খবর, সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ মহলে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন যে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রেই ভোটের কাজে মনোনিবেশ করবেন তিনি। সুব্রত বক্সি বলেছিলেন, 'এই নির্বাচনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি লড়াই করেন, নিশ্চিতভাবেই তিনি লড়াইয়ের ময়দান থেকে পিছিয়ে যাবেন না। যদি লড়াই করেন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই তিনি লড়াই করবেন। জোড়াফুলকে সামনে রেখেই তিনি লড়াই করবেন, এই বিষয়ে আমি নিশ্চিত।' এই মন্তব্যেরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'অভিষেকের পিছিয়ে যাওয়ার কথা আসছে কী করে? সুব্রত বক্সির বাক্য গঠনে সমস্যা আছে। অভিষেকের লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্তিশালী করার জন্য। অভিষেকের ক্ষেত্রে নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার হচ্ছে কেন?। অভিষেক তো নেতা, নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁকে নিয়ে এসব কথা আসছে কেন? সুব্রত বক্সির উচিত, বাক্য গঠনটি পুনর্বিবেচনা করা।' ব্যারাকপুরে অর্জুন সিংহর সঙ্গে সোমনাথ শ্যামের দ্বন্দ্ব মেটাতে না পারা নিয়েও সুব্রত বক্সিকে খোঁচা দিয়েছেন তিনি। 


প্রতিষ্ঠা দিবসে একটি মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে বাংলা ছাগলের তৃতীয় সন্তান হয়ে যাবে। দেশের রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন বলেই বাংলায় আলোচনায় থাকে।'


আরও পড়ুন: চাকরি দিয়ে টাকা নেওয়া আর মায়ের মাংস কেটে খাওয়া সমান: ফিরহাদ হাকিম