কলকাতা: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (partha chatterjee) চক্রান্ত-তত্ত্বের (conspiracy) জবাবে মুখ খুললেন তৃণমূল (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (kunal ghosh)। বললেন, 'অতীতে অনেকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এখন অখণ্ড অবসর। জেরার ফাঁকে ফাঁকে একটু ভেবে দেখতে পারেন। কালের যাত্রাপথে অনেক উত্তর পেয়ে যাবেন।'


কী হয়েছে?
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে ঢোকার মুখে হুইল চেয়ারে বসেই রাজ্যের প্রাক্তন পরিষদীয় মন্ত্রী বলেন,  'আমি ষড়যন্ত্রের শিকার'। জবাবে একপ্রস্ত তোপ দাগেন কুণাল। বলেন,'চক্রান্ত হলে আইনের পথ খোলা আছে।' সঙ্গে সংযোজন, 'যদি কোনও ব্যক্তি অবিচারের শিকার হন, তা হলে তিনি প্রথম সুযোগেই বলবেন যে আমি নির্দোষ। তিন-চার দিন মিডিয়ার কাছ থেকে প্রচুর সুযোগ পেয়েও সে কথা তিনি বলেননি। এখন বলছেন।' এর পরেই 'অবসরে ভেবে দেখার' কথা। কিন্তু কেন?


ট্যুইট করেও মোছেন কুণাল...
পার্থকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর দাবিতে দিনদুয়েক আগে ট্যুইট করেছিলেন কুণাল ঘোষ। লিখেছিলেন, অবিলম্বে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব ও দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। তাঁকে বহিষ্কার করা উচিত। যদি আমার এই বক্তব্য ভুল হয়, তাহলে দলের পূর্ণ অধিকার রয়েছে, আমাকে দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার। আমি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সৈনিক হিসেবে থাকব। লক্ষণীয় বিষয়, সে দিন বিকেলেই মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হয় তাঁকে। তবে তার আগেই সেই ট্যুইটটি মুছে দেন কুণাল। লেখেন, 'আগের ট্যুইটে ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করেছিলাম। দল এখন গোটা বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন।..."   


প্রতিক্রিয়া নানা মহলের
প্রাক্তন পরিষদীয় মন্ত্রীর 'ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব' মন্তব্যের পর থেকে রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি অন্যান্য নানা ক্ষেত্র থেকেও প্রতিক্রিয়া এসেছে। যেমন অপর্ণা সেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে মুখরক্ষার চেষ্টা করছে তৃণমূল, জানান তিনি। 


আরও পড়ুন:"তোমায় প্রমাণ দিতেই হবে, বিক্রি তুমি হওনি", নিয়োগ-দুর্নীতিতে বিশিষ্টদের ভূমিকায় প্রশ্ন রুদ্রনীলের