কলকাতা: দলবদলের প্রস্তাব নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে তরজা। আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি দাবি করেছেন তাঁকে ভয় দেখিয়ে, টাকার লোভ দেখিয়ে দলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে তৃণমূল। তা নিয়ে কুণাল ঘোষকেও একহাত নিয়েছিলেন তিনি। তারই পাল্টা এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
তিনি বলেন, 'নৌশাদকে তৃণমূলে টানতে আমি কোনও প্রস্তাব দিইনি। আমি যদি ওকে তৃণমূলে টানতে নেমে থাকি, তাহলে ওকে তৃণমূলে আসতে হবেই। যে নাটকই করুক না কেন, আমি নামলে কাল না হয় পরশু তৃণমূলে ওকে আসতে হবেই। কুণাল ঘোষের অপারেশন ফেল করে না।'নৌশাদ সিদ্দিকির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে পাল্টা তোপ কুণাল ঘোষের
নৌশাদ বলেছিলেন তিনি মুখ খুললে কুণাল ঘোষের চাকরি থাকবে না। এদিন তার পাল্টা হিসেবে কুণালের দাবি, 'আমার চাকরি নিয়ে নৌশাদকে চিন্তা করতে হবে না। নৌশাদের যা যা মনে আছে, কল রেকর্ড আছে, দেখিয়ে দিন।'
কী বলেছিলেন নৌশাদ?
নৌশাদের মতে,'দলবদলের ২টো প্রধান কারণ থাকতে পারে, একটা হল লোভ, অন্যটা ভয়ভীতি। বায়রনদাকে কীভাবে নিয়েছে সেটা তো বলতে পারছি না। উনি অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছল। ওঁকে হয়তো টাকার জন্য দলবদল করানো হয়নি। হয়তো ভয়ভীতি ছিল কিছু।' তিনি আরও বলেন, 'কথা আর কাজ, এটাই বায়রনের সঙ্গে তফাৎ। উনি বলেছেন, উন্নয়নের জন্য কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে গিয়েছেন। এই যুক্তি অযৌক্তিক। এটা ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা।' তাহলে উনি কী করবেন? নৌশাদ সিদ্দিকির সাফ দাবি, 'তৃণমূলের কাছে কোনও শর্তেই আত্মসমর্পণ নয়।' তিনি জেতার পর থেকেই বিভিন্ন ভাবে তাঁকে তৃণমূল টোপ দিয়ে এসেছে বলে দাবি আইএসএফ বিধায়কের। তিনি বলেন, 'ভাঙড়ের বিধায়ক হওয়ার পরেই লাগাতার চাপ দিয়ে এসেছে তৃণমূল। টাকার টোপ থেকে ভয় দেখানো, করে করে হাঁফিয়ে গেছে তৃণমূল।' ঠিক কত টাকার টোপ দেওয়া হয়েছে তা অবশ্য খোলসা করেননি বিধায়ক। তবে তাঁর দাবি, ১-২ কোটি নয়, অনেক টাকার টোপ এসেছিল তৃণমূলের কাছ থেকে। পাশাপাশি কখনও ভাল কোনও পদ বা মন্ত্রিত্বের টোপও দেওয়া হয়েছিল।
একাধিক মামলায় দীর্ঘদিন ধরে জেলবন্দি ছিলেন নৌশাদ। তারপরে জামিন পান। সেই ঘটনায় বারবার উত্তাল হয়েছিল রাজপথ। আইএসএফ বিধায়কের হুঙ্কার, 'জেল খাটিয়েও আমাকে দমাতে পারেনি তৃণমূল, নৌশাদ দলবদল করবে না, এটাই আমার কমিটমেন্ট।'
আরও পড়ুন: Appetite: খাবার দেখলেই অনীহা? একেবারেই নেই খিদে? প্রতিদিন সহজ কিছু নিয়ম মেনে চললে সমাধান হবে সমস্যার