কলকাতা : রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি। সোমবারের মধ্যে দাবিদাওয়া মেটাতে মুখ্যমন্ত্রী পদক্ষেপ না করলে, মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ধর্মঘটে নামবেন বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এর ফলে যদি কোনও রোগীর সমস্যা হয়, তার দায়ও মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারকে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এনিয়ে এবার জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে বার্তা পাঠালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। 'জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন তুলে নিন। শকুনের রাজনীতির প্ররোচনায় আবেগকে বিভ্রান্ত হতে দেবেন না।' এক্স হ্যান্ডেলে এমনই পোস্ট করে বার্তা পাঠালেন কুণাল।
কুণাল লেখেন, 'জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন তুলে নিন। তাঁদের সুস্থতা কামনা করি। এখন অনশনের কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। শরীরে চাপ নেবেন না। প্রকৃত শুভানুধ্যায়ীদের পরামর্শ মানুন। শকুনের রাজনীতির প্ররোচনায় আবেগকে বিভ্রান্ত হতে দেবেন না। বাম, অতি বামদের ধ্বংসাত্মক ও নেতিবাচক মানসিকতা দূরে রাখুন। আর স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ধর্মঘটের মত জনবিরোধী ভাবনা ভাববেন না। সংবিধান অনুযায়ী চিকিৎসা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। আন্দোলনকে জনগণের শত্রুর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার আগে বারবার ভাবুন।'
তাঁর সংযোজন, 'এই সরকার জ্যোতি বসুর সরকারের মত ডাক্তারদের আন্দোলন পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে তোলেনি। বরং মুখ্যমন্ত্রী আপনাদের মঞ্চে গিয়েছেন, বাড়িতে ডেকেছেন, বারবার বৈঠক হয়েছে, কাজ চলছে, সিবিআই-সুপ্রিম কোর্ট দেখছে। আপনারা থ্রেট কালচারের অংশ হয়ে উঠে কাজ বন্ধের হুমকি দিয়ে রাজনীতি করবেন না।'
তাঁর এই পোস্ট নিয়ে আন্দোলনকারীদের তরফে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিক হালদার বলেন, "যে ভদ্রলোকের কথা বলছেন...আমরা বারবার চেয়েছি আজ আমাদের আন্দোলন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেই পর্যায়ে আমরা মনে করি, একজনই ...একজনের প্রতিক্রিয়াই আমরা দিতে পারি। সেটা হচ্ছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের সহযোদ্ধারা না খেয়ে এতদিন রয়েছেন, আমরণ অনশন করছেন। মঙ্গলবারের যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছি, আমরা চাই, সেই জায়গায় না পৌঁছাক। আমরা কখনোই চাই না যে, মঙ্গলবার এরকম একটা পদক্ষেপ আমাদের নিতে হোক। আজ আমরণ অনশনে আমাদের যে সহযোদ্ধারা রয়েছেন তাঁদের শরীর ভাঙছে, আইসিইউতে যাচ্ছেন...সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তাঁদের প্রতিক্রিয়া কোথায় ? মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুলছেন না কেন ? আমাদের চিৎকারকে তাঁর কান অবধি পৌঁছানোর জন্য আজ আমাদের 'ন্যায়বিচার যাত্রা।' যে 'ন্যায়বিচার যাত্রার' শুরুতে অভয়ার মা-বাবা থাকবেন। তাঁরা হাঁটবেন না। থাকবেন মিছিলের শুরুতে। সেই মিছিল রিলে মিছিল হয়ে আজ অনশন মঞ্চে এসে পৌঁছাবে। আগামীকাল আমরা মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছি। যাতে আমাদের চিৎকারটা 'আমাদের মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর' কান অবধি পৌঁছায়। আমরা মনে করি, মুখ্যমন্ত্রী চাইলে এর সমাধান ৫-১০ মিনিটে করতে পারেন।"