সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: মাত্র ৬-৭ মাসের সম্পর্কে, তাতেই ৫০ লক্ষ টাকা ধার দেন নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh), দাবি কুন্তল-ঘনিষ্ঠ সোমা চক্রবর্তীর (Soma Chakraborty)। ব্যবসার কারণেই ধার নিয়েছিলেন, তবে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে কোনও ভাবেই জড়িত নন বলে দাবি করলেন সোমা। 


কী বললেন সোমা চক্রবর্তী?


এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সোমা চক্রবর্তী জানান, কমন ফ্রেন্ডের সূত্রে কুন্তলের সঙ্গে পরিচয়। ভালই বন্ধুত্ব ছিল। ২০১৭-র শেষদিকে পরিচয় হয় কুন্তল ঘোষের সঙ্গে। আমি গত দশ বছর ধরে ব্যবসা করি। ব্যবসার কারণে বেশ কয়েক কিস্তিতে ৫০ লক্ষ টাকা ধার হিসেবে দেন কুন্তল। যদিও সেই টাকা আর শোধ করা হয়নি। বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা হয় সেই টাকা। খরচ হয় কর্মীদের বেতন দিতেও, দাবি সোমা চক্রবর্তীর। ২০১৮-র মাঝামাঝি সময় থেকে যোগাযোগ নেই কুন্তলের সঙ্গে। এখনও কোনও যোগাযোগ নেই। ফেরত দেওয়ার সুযোগ পাইনি। ইডিকেও সেটা জানিয়েছি। নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। 


কী বলেছিলেন কুন্তল ঘোষ? 


গত ৩ মার্চ প্রথম কুন্তলের মুখে শোনা যায় সোমা চক্রবর্তীর নাম। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন "আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার হয়েছে সোমা চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্টে।'' উত্তরে কুন্তল জানান, "আমার সঙ্গে সম্পর্ক নেই। যাঁর সঙ্গে আছে খুঁজে বের করুন।'' 


কুন্তল ঘনিষ্ঠের দাবিতে উঠছে প্রশ্ন: সোমার দাবিতে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। মাত্র ৬-৭ মাসের পরিচয়ে সোমাকে ৫০ লক্ষ টাকা ধার দিলেন কুন্তল। কীসের ভিত্তিতে সোমাকে ৫০ লক্ষ টাকা দিলেন কুন্তল? ৫ বছর হয়ে গেলেও কুন্তলকে কেন টাকা ফেরালেন না সোমা? কুন্তল কি সোমার কাছে কখনও টাকা ফেরত চেয়েছিলেন? বিনা শর্তে ৫০ লক্ষ টাকা সোমাকে কেন দিলেন কুন্তল?


আরও পড়ুন: Job Seekers Agitation: অবিলম্বে নিয়োগের দাবি, কাঁসর-ঘণ্টা বাজিয়ে মিছিল বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের 


ইডি সূত্রে খবর, আপনার অ্যাকাউন্টে যখন টাকাটা এসেছে, বিভিন্ন কিস্তিতে এসেছে। এবং আপনার অ্যাকাউন্ট কিছুদিন থাকার পরে আরও একাধিক অ্যাকাউন্টে ছড়িয়ে গিয়েছে। এই তথ্যের ব্যাক্ষা দিতে গিয়ে সোমা বলেন, আমি বিজনেস করি, তো ব্যবসা সূত্রে অনেক অ্যাকাউন্টেই ওটা ডিস্ট্রিবিউট হয়। আমার ইনভেস্টমেন্ট পারপাসেই ওটা ইউজ হয়েছে।  এই টাকাটা আপনি লোন হিসেবে নিয়েছিলেন, পরে কি এই টাকাটা কুন্তলকে ফেরত দিয়েছিলেন কিংবা কুন্তল কি ফেরত চেয়েছিল? প্রশ্নের উত্তরে সোমা বলেন, আসলে ২০১৮ এর মাঝামাঝি ওর সঙ্গে (কুন্তলের সঙ্গে) যোগাযোগটা চলে যায়। কোনও সম্পর্কই ছিল না। এমনকি এখনও নেই। কোভিড পরবর্তী সময়ে আমি টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগটা পাইনি। সেটাও আমি ইডি দফতরে জানিয়েছি। ব্যাস, এটাই, এখনও স্ট্যান্ডবাই লোনেই আছে।