কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমানের (Burdwan) নবাবহাট মোড়ে জাতীয় সড়কের ওপর চাকা ফেটে যাত্রীবোঝাই বাসে আগুন (Fire Incident) লাগার ঘটনা ঘটল। বরাতজোরে রক্ষা পেলেন যাত্রীরা (Passenger)।
৫০-৫৫ জন যাত্রী নিয়ে বেসরকারি বাসটি বাবুঘাট থেকে বিহারের ভাগলপুরে যাচ্ছিল। গতকাল রাত সোয়া ১টা নাগাদ ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়ার সময়, বাসের পিছনের চাকা ফেটে যায়। এরপরই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে গোটা বাস। যাত্রীরা নেমে গেলেও, তাঁদের ব্যাগপত্র ও বাসের ছাদে থাকা পণ্যসামগ্রী পুড়ে যায়। দমকলের ২টি ইঞ্জিন একঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গতবছর কোচবিহারের (Cooch Behar) মেখলিগঞ্জে যাত্রী বোঝাই সরকারি বাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছিল (Fire Incident)। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিলেন সেবার যাত্রীরা। মাথাভাঙা থেকে শিলিগুড়ি যাচ্ছিল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসটি। জানা গিয়েছিল, সকাল ৭টা নাগাদ মেখলিগঞ্জের জামালদহে উল্টোদিক থেকে আসা ট্রাকে ধাক্কা মারার পর, বাস ও ট্রাক দুটিতেই আগুন লেগে যায়। হুড়মুড়িয়ে নেমে পড়েছিলেন যাত্রীরা (Passengers)। দমকলের একটি ইঞ্জিনের একঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছিল।
পাশাপাশি গতবছর মে মাসে চলন্ত বাসে হঠাৎই আগুন লেগেছিল রাজ্যে। কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে (Kona Expressway) এক সরকারি বাসে আগুন লেগে গিয়েছিল। সাঁতরাগাছির (Santragachi) কাছে আমতা থেকে ধর্মতলাগামী একটি সরকারি বাসে আগুন লাগে। আচমকাই সিটের পাশে ধোঁয়া দেখতে পেয়েছিলেন চালক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের একাংশে প্রায় আধঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছিল যান চলাচল।
তবে বোধ হয়, ভয়াবহতা ছাড়িয়েছিল কাশ্মীরে বাসে আগুন লাগার ঘটনায়। গতবছর মে মাসে কাটরা থেকে জম্মু (Jammu) যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী বাসে আগুন লাগে। কাটরা (Katra) থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে খারমাল নামে একটি জায়গায় কাছে যাত্রীবাহী বাসে (Bus) আগুন ধরে গিয়েছিল। এএনআই সূত্রে খবর, বাসে তীর্থযাত্রীরা ছিলেন। এই ঘটনায় মৃত্যু (Death) হয়েছিল কয়েকজন বাসযাত্রীর। কুড়ি জনেরও বেশি জখম হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন, দুর্ঘটনায় ২ BJP নেতার মৃত্যু, 'খুনের' আশঙ্কা বিজেপি নেতৃত্বের
পুলিশ সূত্রের খবর, বাসের ইঞ্জিনে (Engine) আগুন ধরে গিয়েছিল। সেখান থেকে দ্রুত গোটা বাসে আগুন ধরে যায়। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় পৌঁছেছে পুলিশ। কীভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হবে। এলাকায় পৌঁছেছে ফরেন্সিক দল। প্রাথমিক তদন্তে কোনও বিস্ফোরণের তত্ত্ব পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিল সেবার জম্মু কাশ্মীর পুলিশ।