সুনীত হালদার, হাওড়া : মঙ্গলবার থেকে কুড়মি আন্দোলনের জেরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর-টাটা ও চাণ্ডিল-আসানসোল সেকশনে ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল। শনিবার পর্যন্ত আড়াইশোর কাছাকাছি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিলের পাশাপাশি কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। বহু ট্রেন ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফ থেকে মঙ্গলবার থেকে এখন পর্যন্ত ৪৩ টি বুলেটিন জারি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে জানানো হচ্ছে যে বিক্ষোভের ফলে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর- টাটা ও চান্ডিল- আসানসোল সেকশনে পুরোপুরি ব্যাহত ট্রেন চলাচল। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বাতিল হয়েছে,
- রাঁচি-খড়গপুর এক্সপ্রেস
- টাটানগর-হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস
- হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস
- হাওড়া-তিতলাগড় ইস্পাত এক্সপ্রেস
- খড়গপুর-ঝাড়গ্রাম-পুরুলিয়া মেমু স্পেশাল
- টাটানগর-আসানসোল মেমু স্পেশাল
- আদ্রা-পুরুলিয়া মেমু প্যাসেঞ্জার
- আসানসোল-রাঁচি মেমু প্যাসেঞ্জার
- বোকারো স্টিল সিটি-আসানসোল মেমু প্যাসেঞ্জার
- পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম মেমু প্যাসেঞ্জার
- ধানবাদ-ঝাড়গ্রাম মেমু এক্সপ্রেস ও আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন।
পাঁচদিনে পড়ল কুড়মিদের বিক্ষোভ-আন্দোলন। তফশিলি উপজাতি তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও মাতৃভাষাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে পুরুলিয়ার কুস্তাউর ও পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি স্টেশনে রেল অবরোধ অব্যাহত। খেমাশুলিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কেও চলছে অবরোধ। ঝাড়গ্রামের লোধাশুলিতে জাতীয় সড়কের পাশাপাশি অবরুদ্ধ রাজ্য সড়কও। অবরোধের জেরে ট্রাক, লরি, বাসের কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন। চরম ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। খাবার, জল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ট্রাক, লরির চালকরা।
পুজোর মুখে ট্রেন পরিষেবা না পেয়ে নাজেহাল যাত্রীরা। যদিও দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসনযোগ আধিকারি আদিত্য কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা মঙ্গলবার থেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছেন ও তাদের বোঝানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন । পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছে এই বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে যাতে রাজ্য সরকারের সাহায্য তাদেরকে রেলের ট্র্যাক থেকে সরিয়ে দেওয়া যেতে পারে । কিন্তু যতক্ষণ না বিক্ষোভকারীরা রেলের ট্র্যাক থেকে সরছেন ততক্ষণ দক্ষিণ পূর্ব রেলের পরিষেবা ব্যাহত থাকবে । আজও শনিবার বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিলের পাশাপাশি যাত্রা পথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। বহু ট্রেন ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। কবে এই সমস্যা মিটবে তার দিকেই কার্যত তাকিয়ে আছে রেল যাত্রীরা।