আবীর দত্ত, কলকাতা: সাতসকালে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডে মিলল লক্ষ লক্ষ টাকা। প্রায় ৩ লক্ষ টাকা মিলেছে বলে সন্দেহ পুলিশের। জাল নোট পাচারের সন্দেহ পুলিশের। মালদা থেকে বাসে এক ব্যক্তি এই পরিমাণ টাকা নিয়ে আসছিলেন, খবর পুলিশ সূত্রে। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, টাকা গোনার কাজ চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদার কালিয়াচক থেকে এই বিপুল সংখ্যক জাল নোট এনে তা এখানে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ চলছিল সন্দেহ। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বাসস্ট্যান্ডে বসেই সিজার লিস্ট তৈরি করে এসটিএফ আধিকারিকরা। তিনটি ব্যাগে করে এই জাল ৫০০ টাকার নোট নিয়ে আসেন ওই ব্যক্তি।
ধর্মতলায় ওই ব্যক্তিকে বাসের সামনে তিনটি ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অনেকেরই ব্যক্তির হাবভাব দেখে সন্দেহ জাগে। সেখান থেকেই স্থানীয় পুলিশ ও এসটিএফ-কে খবর দেওয়া হয়। এরপর তদন্ত শুরু করতেই দেখা যায় ৫০০ লেখার জায়গাটি মূল ৫০০ টাকার থেকে বেশ কিছুটা আলাদা। যদিও এক ঝলকে চট করে তা বোঝা নাও যেতে পারে। সেখান থেকেই তাঁদের সন্দেহ হয় এগুলো জাল নোট।
আরও পড়ুন, ইসকন সম্পর্কে হুমকি, 'এমন জঙ্গি ইসকনকে দেশছাড়া করা আমাদের কাছে হাতের ময়লা’!
মালদার কালিয়াচক থেকে কলকাতায় ব্যবসার জন্য না কি অন্য কোনও উদ্দেশ্য আছে তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এই বিপুল অঙ্কের টাকা কীভাবে কলকাতায় ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল? মার্কেট-শপিং মল বা কাঁচা বাজারের মাধ্যমে টাকা ছড়িয়ে দেওয়া হত সাধারণের হাতে।
প্রসঙ্গত এর আগেও মালদার কালিয়াচক থেকে জাল নোটের কারবারিদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। সীমান্তের ওপারের সঙ্গে এই জাল নোট তৈরির কোনও সম্পর্ক আছে কি না সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন অফিসাররা।
ধৃত মানোয়ার শেখ মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা।পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। পুলিশি জেরায় ধৃতের দাবি, মালদা থেকে বাসে করে এসে টাকা নিয়ে সে মহারাষ্ট্রের নাসিকে যাচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ সকালে ধর্মতলা বাস স্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের STF. উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ২ লক্ষ ৯৯ হাজার। ৬টি বাণ্ডিলের সবকটি পাঁচশোর নোট। জাল নোটগুলি কোথা থেকে আনা হয়েছিল, কোথায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে