কলকাতা: ৭৮ বছরে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু তমলুকের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের (Lakshman Seth Marriage)। প্রথম স্ত্রী তমালিকার মৃত্যুর ৭ বছর পরে মানসী দের সঙ্গে ২৪ মে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেছেন। এই বয়সে অন্ধের যষ্টির মতো একজনকে চাই। সারাদিন কাজ করার পর বাড়ি ফিরে যাঁর সঙ্গে গল্প করতে পারব। ৭৮ বছর বয়সে দ্বিতীয় বিয়ের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এমনটাই বললেন লক্ষ্মণ শেঠ।
বয়স কেবলমাত্র সংখ্যাই তার প্রমাণ আগেই প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ (Lakshman Chandra Seth)। ৭৮ বছর বয়সে শুরু করেছেন নতুন ইনিংস। কিন্তু কেন দ্বিতীয় বার বিয়ে সারলেন বঙ্গ রাজনীতির বিতর্কিত এই নেতা? দ্বিতীয় বিয়ের কারণ নিজেই ব্যাখ্যা করলেন এককালের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা। জানালেন, "এই বয়সে অন্ধের যষ্টির মতো একজনকে চাই। সারাদিন কাজ করার পর বাড়ি ফিরে যাঁর সঙ্গে গল্প করতে পারব।''
আইনি মতে বিয়ে সেরেছেন ২৪ মে। সামনে রয়েছে জমকালো প্রীতিভোজের অনুষ্ঠানও। পাত্রী মানসী দে। কলকাতার একটি বহুজাতিক হোটেল গোষ্ঠীর এক পদস্থ আধিকারি। বয়স ৪২ বছর। গত সপ্তাহে তাঁর সঙ্গে আইনি বিবাহ সেরেছেন লক্ষ্মণ। আগামী ২৪ জুন জমকালো অনুষ্ঠান করবেন। লোকজন ডেকে হবে প্রীতিভোজ। সেখানে বাঙালি রীতি-রেওয়াজ মেনে সাতপাকে বাঁধা পড়বেন নবদম্পতি। তবে তাঁর এই বিয়ে নিয়ে পরিবারে অসন্তোষ রয়েছে বলে খবর (Lakshman Seth Marriage)।
লক্ষ্মণের প্রথম স্ত্রী তমালিকা পন্ডা শেঠ। ২০১৬ সালে তিনি মারা যান। তাঁদের দুই ছেলে। এ বার দ্বিতীয় বিয়ে সারলেন লক্ষ্মণ। মানসীর সঙ্গে এক ঘনিষ্ঠের মাধ্যমে লক্ষ্মণের আলাপ বলে জানা গিয়েছে। দেখা-সাক্ষাতের বেশ কিছু দিন পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। মানসী কলকাতা থাকেন। তমলুকে নিজেক স্বেচ্ছেসেবী সংস্থা 'আইকেয়ার' চালান লক্ষ্মণ। বিয়ের পর কলকাতায় তিনি আসা যাওয়া করবেন বলে খবর। তবে পরিবার সূত্রে খবর, লক্ষ্মণের এই দ্বিতীয় বিবাহ মেনে নিতে পারেননি তাঁর আগের পক্ষের দুই ছেলে। সেই নিয়ে অশান্তি শুরু হয়েছে পরিবারে।
গত লোকসভা নির্বাচনে হাত চিহ্নে তমলুক থেকে নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন লক্ষ্মণ। কিন্তু জামানত বাজেয়াপ্ত হয় তাঁর। তার পর বেশ কিছু দিন চুপচাপ ছিলেন। শোনা যায়, মাঝে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে চিঠিও লেখেন লক্ষ্মণ। তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু মমতার তরফে সে ভাবে সাড়া পাননি। এর পর এ রাজ্যে আম আদমি পার্টির হাত ধরারও চেষ্টা করেন। কিন্তু সদুত্তর পাননি সেখান থেকেও। তার পর থেকে আর সে ভাবে খবরে ছিলেন না লক্ষ্মণ। এতদিন পর দ্বিতীয় বিবাহে দৌলতে ফের খবরে উঠে এলেন তিনি।