কামারহাটি: পুজো কার্নিভ্যালে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় অভিমান হয়েছিল বটে। তবে মনখারাপ কাটিয়ে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় ফের চাঙ্গা তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। গান গায়ে ধনদেবীর আরাধনায় মাতলেন তিনি (Lakshmi Puja 2022)। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আনুগত্যের প্রমাণও ফের দিলেন তিনি। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় নিজের কেন্দ্রের প্রতি কার্যালয়ে লক্ষ্মীর ভাঁড় রাখার ঘোষণা তাঁর। তাতে জমা পড়া টাকা দরিদ্র মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানালেন। 


নিজেহাতে লক্ষ্মীপুজো করলেন মদন মিত্র


রবিবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় ব্যস্ত বঙ্গবাসী। তাতে যোগ দিলেন মদনও। কামারহাটিতে নিজেহাতে লক্ষ্মীপুজো করলেন তিনি। লক্ষ্মীপুজো করা নিয়ে তাঁর যুক্তি, "আমি মদন মিত্র। আমি ব্রাহ্মণ নই। কিন্তু ব্রাহ্মণ না হলেও, আমি ব্রাহ্মণ শ্রেষ্ঠ। আমি বিশ্বামিত্র গোত্র। পুজো আধিকার সকলের আছে। আমি তাই আজ এখানে লক্ষ্মীকে পুজো করছি। আমি পুজো শুরু করেছি 'এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে' গেয়ে।" 


কামারহাটির ১৪ নম্বর ওয়ার্ড অফিসে এ দিন লক্ষ্মীপুজো করেন মদন। পুজোস্থলে বসেই মদন জানান, কামারহাটিতে দলের প্রতিটি কার্য়ালয়ে রাখা থাকবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। যে টাকা জমবে, তা দিয়ে যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁদের সাহায্য করা হবে। নিজেহাতে তার সূচনাও করেন মদন। বিধায়কের বেতন থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১০০১ টাকা জমা করেন। জানান, মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পকে বছরভর চালিয়ে নিয়ে যেতেই এমন উদ্যোগ। দলের কর্মীরাও উদ্বৃত্ত টাকা ভাঁড়ে জমা করবেন। সব কার্যালয়ে রাখা থাকবে মাটির ভাঁড়।


আরও পড়ুন: Market Price Hike: আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো, সবজির দাম চড়া বাজারে


এ দিন মদন জানান, কর্মীদজের উদ্বৃত্ত টাকা লক্ষ্মীর ভাঁডে় জমা করতে বলেছেন তিনি। সেই টাকা জমা করে তুলে দেওয়া হবে দরিদ্র মানুষের হাতে। মদনের কথায়, "যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাননি, চাকরি পাননি, তাঁদের হাতে জমা টাকা তুলে দেওয়া হবে প্রত্যেক মাসে। যাঁদের ঘরে অভাব রয়েছে, ওষুধ, জামা কিনতে পারছেন না, আমাদের ছেলেরা বিভিন্ন এলাকার বুথে বুথে গিয়ে প্রত্যেককে সাহায্য় করবে।"


বিধায়কের বেতন থেকে টাকা ভাঁড়ে ফেললেন মদন


তবে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনেও ধর্মতলায় চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ চলছে। তা নিয়ে যদিও রাজ্য় সরকারের সপক্ষেই মুখ খোলেন মদন। তিনি বলেন, "আমার প্রাপ্য যদি আমায় না দাও, তাতে সঙ্কট হবেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সরকারি কর্মীদের বেতন না দেন, তাঁরা সমস্য়ায় পড়বেনই। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় আমরা দিল্লির কাছে কর্মচারী। আমার টাকা আমারক ছোঁয়ার অধিকার নেই। আমার টাকা তুমি সব নিয়ে চলে যাচ্ছো। তা ইচ্ছে মতো ভাগ দিচ্ছো। তাও সময়ে নয়। আজ ওষুধ কিনতে ১০০ টাকা লাগবে আমার। মারা যাওয়ার পর শ্রাদ্ধ মিটলে সেই টাকা দিলে কোন কাজে লাগবে!"