আশাবুল হোসেন, কলকাতা : ২৬ এর ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে  আক্রমণের ঝাঁঝই বলে দিচ্ছে দুয়ারে নির্বাচন । সামনে ভোট মানেই, জনতা জনার্দনের মন জেতার পালা। তাহলে কি এবারও বিধানসভা ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে কোনও প্রতিশ্রুতি দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? জল্পনা নবান্নের আনাচে কানাচে। মঙ্গলবার নবান্নে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক হতে চলেছে। গত ১৪ বছর ধরে তৃণমূল সরকার কী কী করেছে, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট কার্ড পেশ করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে আলোচনা হতে পারে সরকারের জনদরদী প্রকল্পগুলি নিয়েও। 

Continues below advertisement

কী বলছে নবান্ন সূত্র ?        

২০১১ থেকে ২০২৫। স্বাস্থ্য, শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে ধাপে ধাপে ৯৪টি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করেছে তাঁর সরকার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, কৃষক বন্ধুর মতো প্রকল্প আম জনতাকে নগদের জোগান সুনিশ্চিত করেছে। কেন্দ্র প্রাপ্য আটকে দেওয়ার পরও কর্মশ্রী, বাংলার বাড়ি প্রকল্প চালু করে রাজ্যের প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে নবান্ন। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করে। রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই লক্ষ্মীর ভান্ডারই বাংলার মা-বোনেদের ভোট ঘাসফুলে আকর্ষিত করেছে। তাই এবার ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে নতুন কোনও ঘোষণা হয় কিনা, সেই দিকে নজর থাকবে সকলের।       

Continues below advertisement

 লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় ঘোষণা?                        

পাশাপাশি আগামীদিনে কী পরিকল্পনা রয়েছে, সেই বিষয়েও তথ্য দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন দফতরের সচিব এবং মন্ত্রীরা। দুপুর দেড়টায় শুরু হতে পারে বৈঠক। সূত্রের দাবি, বৈঠকের পরই গত ১৪ বছরে রাজ্য় সরকার যা কাজ করেছে তাকে হাতিয়ার করে প্রচারে নামবে তৃণমূল। তাই প্রচার অস্ত্রে শান দিতে সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলি নিয়ে নতুন কোনও ঘোষণা হয় কিনা, সেই দিকে নজর থাকবে। ২০১১ থেকে ২০২৫। একাধিক ক্ষেত্রে নানা প্রকল্প চালু করেছে তৃণমূল সরকার। তার মধ্যে আছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্প । এছাড়াও আছে কর্মশ্রী, বাংলার বাড়ি প্রকল্প। 

 অন্য়দিকে, আজই মালদা এবং মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। আজকে রাতে তিনি থাকবেন বহরমপুরে। আগামীকাল মালদার গাজলে সভা রয়েছে তাঁর। বৃহস্পতিবার জনসভা রয়েছে বহরমপুর স্টে়ডিয়ামে।