কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের কললিস্ট ঘেঁটে এক মহিলার সন্ধান পায় পুলিশ। এরপরই সোমবার ওই মহিলাকে লালবাজারে ডেকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। 


সূত্রের খবর, প্রায় তিনমাস ধরে ওই মহিলাকেও বারবার ফোন করে উত্যক্ত করতে কীর্তিমান সঞ্জয় রায়। তাঁকে কুপ্রস্তাবও দিত। পুলিশ মহলে তাঁর প্রচুর জানাশোনা আছে বলে ভয় দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য চাপ দিত।


এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে ওই মহিলার মা জানান, কয়েকদিন আগেই তাঁর মেয়ের একটি সন্তান হয়েছে। নিজেকে পুলিশ হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাঁর মেয়েকে অশালীন ও কু-প্রস্তাব দিত সঞ্জয়। শারীরিক সম্পর্ক তৈরির জন্য অনবরত চাপ দিত। লালবাজারে ডেকে জি়জ্ঞাসাবাদের পর ওই মহিলার অভিযোগ শুনে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা বলছেন, যত সময় গড়াচ্ছে ততই ধৃত সঞ্জয় রায়ের নানান কীর্তি সামনে আসছে।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। তারপর থেকেই একাধিক কুকীর্তির কথা সামনে আসছে তার।  একাধিক বিয়ে করার পাশাপাশি নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে একাধিক মহিলাকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগও উঠে আসছে। যা নিয়ে তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজ্য। সঞ্জয় রায় সহ এই ঘটনায় জড়িত থাকা বাকি অপরাধীদেরও গ্রেফতার করার দাবি জানিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন শুরু করেছেন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কলকাতার রাস্তাতেও চিকিৎসকদের সমর্থনে প্রতিবাদ মিছিল করছেন বিশিষ্টজনরা। কেন এই ধরনের ঘটনাকে প্রথম থেকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চিকিৎসক সংগঠনের সদস্যরা। 


শুক্রবার সকালে আরজি কর হাসপাতালের  জরুরি বিভাগের চারতলায় সেমিনার হল থেকে একজন জুনিয়র চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বিষয়টির খবর ছড়িয়ে পড়তেই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। স্নাতকোত্তর স্তরের সেকেন্ড ইয়ারের ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবার রাত ২টো পর্যন্ত হাসপাতালের ওয়ার্ডে ডিউটিও করেন। পরে কর্তব্যরত আরও দুই জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে রাতের খাওয়া সেরে পড়াশোনার জন্য সেমিনার হলে যান। আর শুক্রবার সকালে সেমিনার হল থেকে মেলে অর্ধনগ্ন দেহ। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda


আরও পড়ুন: RG Kar Doctor's Death: সকালে আরজি কর থেকে ইস্তফা, বিকেলে বিতর্কিত অধ্যক্ষ সন্দীপকে ন্যাশনাল মেডিক্যালে পাঠাল সরকার