কলকাতা: বালিগঞ্জে (Ballygunge) কয়লা ব্যবসায়ীর (Coal Trader) অফিসে হামলার ঘটনায় মূল চক্রী কুখ্যাত গ্যাংস্টার আমন সাউকে (Aman Shaw) এবার হেফাজতে নিতে চলেছে লালবাজার (Lalbazar)। বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের পাকুড় জেলে বন্দি ওই দুষ্কৃতী। তার আগে গতকাল তার শাগরেদ রবিকুমার গুপ্তকে দেওঘর থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। এনিয়ে কয়লা ব্যবসায়ীর অফিসে হামলার ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪। পুলিশ সূত্রে খবর, আমন জেলবন্দি থাকায় বাইরে থেকে তার হয়ে অপারেশন চালাত রবি। কয়লা ব্যবসায়ীর অফিসে হামলার সময়, বাইরে পাহারায় ছিল ওই দুষ্কৃতী। 


কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে আগেই বেরিয়ে এসেছে কেউটে। বালিগঞ্জে কয়লা ব্যবসায়ীর অফিসে দুষ্কৃতী হানার তদন্তে নেমে ঝাড়খণ্ডের কুখ্যাত গ্যাংস্টার চক্রের পর্দা ফাঁস করেছে পুলিশ।  প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলে ঝাড়খণ্ডের গ্যাংস্টার আমন সাউয়ের দলবল কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে সক্রিয়।  বালিগঞ্জের ওই ঘটনায় ঝাড়খণ্ড থেকে ২ দুষ্কৃতীকে শনিবার গ্রেফতার করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।  রবিবার বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর থেকে গ্রেফতার করা হল আরেক দুষ্কৃতী বিকাশ পাণ্ডেকে। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত ৩ জনই ঝাড়খণ্ডের  কুখ্যাত গ্যাংস্টার আমন সাউয়ের শাগরেদ।


গত ৮ জানুয়ারি বালিগঞ্জের শরত্‍ বসু রোডে কয়লা ব্যবসায়ী রোহিত পোদ্দারের অফিসে হানা দেয় ২ দুষ্কৃতী।  অভিযোগ, লুঠ করা হয় প্রায় ৭৫ হাজার টাকা। পুলিশ সূত্রে খবর,  তদন্তে নেমে লালবাজারের গোয়েন্দাদের ৩টি টিম ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে তল্লাশি চালায়। শনিবার গ্রেফতার করা হয় আমন সাউ গ্যাংয়ের ২ সদস্য অবিনাশ কুমার রাউত ও চন্দন যাদবকে।  এরপর পাণ্ডবেশ্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় বিকাশ পাণ্ডেকে। 


আমন সাউয়ের গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অপহরণ, তোলাবাজি সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর,  মূলত কয়লা ব্যবসায়ীদের টার্গেট করত আমন সাউয়ের দলবল। ২৫ বছর ধরে ঝাড়খণ্ডের ত্রাস এই কুখ্যাত গ্যাংস্টার।  আমন এখন ঝাড়খণ্ডের পাকুড় জেলে বন্দি।  সেখান থেকেই সে কারবার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ।  এখন বালিগঞ্জের ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা একে একে ধরা পড়ায়, এ রাজ্যেও তারা জাল ছড়িয়েছে বলে গোয়েন্দাদের সন্দেহ।