অমিতাভ রথ, লালগড় (ঝাড়গ্রাম): বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচার জন্য  পরিত্যক্ত ঘরে আশ্রয় নিয়েও শেষ রক্ষা হল না। বজ্রপাতে মৃত্যু হল যুব তৃণমূলের একটি বুথের সাধারণ সম্পাদকের।আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন।এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার লালগড় থানার বালিশিরা গ্রামে।


পুলিশ জানিয়েছে বজ্রপাতে মৃত তৃণমূলের যুব নেতার নাম দেবকুমার মুদী (বয়স ৩০)।বাড়ি ঝাড়গ্রামের কেচন্দা গ্রামে। তিনি কেচন্দা বুথের যুব তৃণমূলের সাধারন সম্পাদক ছিলেন।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন  বালিশিরা গ্রামে বজ্র-বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেতে দেবকুমার সহ আরও পাঁচজন একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।


প্রচন্ড শব্দে বাজ পড়লে গুরুতর জখম হয় দেবকুমার।বাকিরাও কম বেশি আহত হন।দেবকুমারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করেন। আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।


রাজ্যে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্থান থেকে বজ্রাঘাতে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কিছুদিন আগেই জমিতে চাষের কাজের সময় বজ্রপাতে প্রাণ গিয়েছিল দুইজনের। বজ্রপাতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল বাঁকুড়ায়। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরও চার জন। অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে দুপুর বেলা ঘটনাটি ঘটেছিল বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের হাট আশুড়িয়া এলাকায়। জানা গেছে, মৃতদের নাম জাহিরুল শেখ ও মঙ্গলা বাউরী। আহতদের বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আনা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছিল,  কোতালপুকুর গ্রাম লাগোয়া একটি জমিতে ওই দিন ধান রোপণের কাজ করছিলেন পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে দশ জন। দুপুরে আচমকাই বৃষ্টি শুরু হয়। এই সময়ই বজ্রপাত হলে শ্রমিকদের প্রায় সকলেই লুটিয়ে পড়েন। ঘটনায় কমবেশি আহত হন সকলেই। এরমধ্যে ৬ জনের আঘাত গুরুতর থাকায় তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুই ব্যাক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান স্থানীয় বিধায়ক আলোক মুখোপাধ্যায়।