দুর্গাপুর: 'মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) বলছেন, এনডিএ (NDA) নাকি ইভিএম হ্যাক (EVM Hack) করবে। আগে বাংলার ভোটে ইভিএম-এর সঙ্গে ভিভিপ্যাট লাগিয়ে সততা প্রমাণ করুন', দুর্গাপুরের সভা থেকে আক্রমণ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। রাজ্য়ের শাসক দলের বিরুদ্ধে শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেদার ব্যালট চুরি, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে সুর চড়িয়েছে বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলি। এদিন সেই আক্রমণই আরও ঝাঁঝাল করলেন শুভেন্দু। সঙ্গে জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের। বললেন, 'কয়লা, বালি, পাথরের পর এবারের ভোটে ব্যালটও খেয়ে ফেলেছে তৃণমূল। এবার ইভিএম খাওয়ার পরিকল্পনা করছে।'


মমতা ও শুভেন্দু...
বৃহস্পতিবারই তৃণমূল নেত্রী বলেন, 'ইভিএম হ্যাক করার নানা পরিকল্পনা হচ্ছে। 'ইন্ডিয়া'র পরবর্তী বৈঠকে আলোচনা হবে। তবে বিজেপিকে হারিয়ে ভোটে জিতবে 'ইন্ডিয়া।' ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিজেপি-বিরোধী দলগুলি 'ইন্ডিয়া' শিরোনামে এক ছাতার তলায় জোট বেঁধেছে। যদিও বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব প্রকাশ্যে এই জোটকে আমল দিতে নারাজ। কিন্তু সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনে মণিপুর ইস্যুতে 'ইন্ডিয়া'-এর সংঘবদ্ধ প্রতিবাদের ছবিটা কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে রাখতে পারে গেরুয়া শিবিরকে। পাল্টা হিসেবে বার বার তাই বাংলা, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ের কথা শোনা গিয়েছে বিজেপি সাংসদদের মুখে। এসেছে বঙ্গের হালের নির্বাচনের কথাও যা তৃণমূলনেত্রীর মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে ফের মনে করিয়ে দিলেন শুভেন্দু। বললেন, 'পঞ্চায়েত ভোটে প্রায় ৫৪ হাজার আসনে বিজেপি প্রার্থী দিতে পেরেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবারের পঞ্চায়েত ভোটে লুঠ হয়েছে।' তাঁর আরও অভিযোগ, 'যে কজন প্রার্থী দিতে পেরেছিলেন, তাঁদের ভয় দেখানো হয়েছে। ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রেখে তৃণমূল ভোট লুঠ করতে নেমে পড়ে। গণনার দিন গণনাকেন্দ্রে বিরোধীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি, ভোট লুঠ হয়েছে। ডিএম, এসপি-র নেতৃত্বে ডবল ব্যালট ছাপিয়েছেন বিডিও-রা। এত বাধার পরেও বিজেপি প্রায় ১১ হাজার আসনে জিতেছে। ঠিক ভাবে ভোট হলে এবার বিজেপি ৩০ হাজার আসনে জয় পেত।' 


নিশানায় সিপিএম...
বিজেপি বিরোধী জাতীয় জোটে তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে সিপিএম, কংগ্রেস-সহ একাধিক দল। এদিন তা নিয়েও খোঁচা দেন 'সিপিএমের বন্ধুদের দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। বেঙ্গালুরুতে ইয়েচুরির সঙ্গে মমতার সমঝোতা হয়ে গেছে। দিল্লিতে দোস্তি আর বাংলায় কুস্তি একসঙ্গে হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাড়াতে হলে সিপিএমের নিচুতলার কর্মীরা বিজেপির সঙ্গে আসুন।' প্রসঙ্গত, রাম-বাম যোগের অভিযোগ অতীতে একাধিকবার তুলেছেন তৃণমূলনেত্রী। শুভেন্দুর এদিনের আহ্বানের পর সেই অভিযোগ আরও অক্সিজেন পাবে না তো? প্রশ্ন উঠছেই।   


আরও পড়ুন:'চাকরি হোক, মমতা চান না', মন্তব্য শুভেন্দুর