গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মালদার ছায়া এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas)। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সভানেত্রীকে (Chief Of Self Help Group) বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে এসে মারধরের অভিযোগ উঠল, ওই গোষ্ঠীরই অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে। মারধরের পর ওই মহিলাকে লাইটপোস্টে বেঁধে রাখার অভিযোগও উঠেছে। কয়েক ঘণ্টা এভাবে বেঁধে রাখার পর খবর যায় থানায়। পুলিশ গিয়ে মহিলাকে উদ্ধার করে।


কী জানা গেল?
অভিযোগ, বাকি সদস্যদের অন্ধকারে রেখে ব্যাঙ্কে জমানো স্বনির্ভর গোষ্ঠীর টাকা থেকেই ওই সভানেত্রী কয়েক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। পরে বাকি সদস্যরা জানতে পারায় তাঁকে ঋণ পরিশোধের জন্য চাপ দিতে থাকেন। মঙ্গলবার সকালে গোষ্ঠীর সদস্যরা সভানেত্রীর বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ। শুরু হয় বচসা। তখন সভানেত্রীর স্বামী, গোষ্ঠীর এক মহিলাকে চড় মারেন বলে অভিযোগ। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দু’পক্ষ থানায় মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে, দুই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে পুরুলিয়ার একটি স্কুলে মিড ডে মিলের রান্না বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।


পুরুলিয়ার স্কুলে মিড ডে মিল বন্ধের নেপথ্যে...
গত ফেব্রুয়ারি মাসের ওই ঘটনায় প্রশাসনিক বৈঠকেও সমাধান সূত্র মেলেনি। বিষয়টি নিয়ে হইচই হলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেয়, পর দিন থেকে ফের মিড ডে মিল শুরু হবে। কিন্তু পরিস্থিতি যা ছিল তাতে আদৌ সেটি চালু করা যাবে কিনা, তা নিয়ে দোলাচল অব্য়াহত।এর পর, গত এপ্রিলে কার্যত এক ছবি ধরা পড়েছিল পুরুলিয়ারই ঝালদায়। সে বার, ঝালদা ১ নম্বর ব্লকের ইচাগ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কেনদুয়াডি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল ৮টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মধ্যে কে রাঁধবে তাই নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। স্কুল সূত্রে খবর, এই সংঘাত বেশ কিছু দিন ধরেই চলে আসছিল। কেনদুয়াডি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে রান্নার দায়িত্বে ছিল মহাবীর সঙ্ঘ মহিলা সমিতি নামের একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। গ্রামে ৮টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী থাকা সত্ত্বেও, কেন একটি গোষ্ঠীই মিড ডে মিল রান্নার বরাত পাবে, সেই প্রশ্ন তুলে বিরোধিতায় সরব হয় বাকি ৭টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। ২০১৭ সালে বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় প্রথম থেকে মিড ডে মিল রান্না করে আসা স্বনির্ভর গোষ্ঠী। স্কুল সূত্রে খবর, কিছু দিন আদালতের রায় ওই গোষ্ঠীর পক্ষে যায়। কেনদুয়াডি প্রাথমিক বিদ্যালয় সূত্রে খবর, ২০১৭ সাল থেকে বিরোধী সাতটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীই পালা করে মিড ডে মিল রান্না করছিল স্কুলে। কলকাতা হাইকোর্টের রায় তাদের পক্ষে যাওয়ার পর ফের রান্নার দায়িত্বে পায় পুরনো স্বনির্ভর গোষ্ঠী। কিন্তু অশান্তির আশঙ্কা এতটাই ছিল যে সেদিন পুলিশ-পাহারায় স্কুলে মিড ডে মিল রান্না করা হয়। 


আরও পড়ুন:লোকসভার আগেই বড় রদবদল, সেপ্টেম্বরেই সংসদে;এক দেশ এক নির্বাচন বিল! বিশেষ অধিবেশন ঘিরে জোর জল্পনা