কলকাতা: খাদ্য আন্দোলনে (West Bengal Food Movement) স্মরণে আজ ধর্মতলায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট (Left Front)। পাশাপাশি, বেকারি, মূল্যবৃদ্ধি, দারিদ্র, টাকার দামের পতন, বৈষম্যের প্রতিবাদ-সহ বিভিন্ন ইস্যু উঠে আসার কথা এই সমাবেশে। ১৯৫৯ সালে বামেদের নেতৃত্বে খাদ্য আন্দোলন হয়। ৮০ জনের বেশি আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছিল সেই সময়। খাদ্য আন্দোলনের স্মরণে প্রতিবছর সমাবেশের আয়োজন করে বামফ্রন্ট। এবার সমাবেশ ধর্মতলায়। প্রধান বক্তা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। হাওড়া, শিয়ালদা-সহ শহরের পাঁচ জায়গা থেকে পাঁচটি মিছিল এসে পৌঁছবে ধর্মতলা চত্বরে।


কী বললেন মহম্মদ সেলিম?
'আমার-আপনার ঘরে আলো, পাখা জ্বলবে না।  জ্বালানির জন্য লড়াই করতে হবে', মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের। কালো টাকার কথাও শোনা যায় তাঁর মুখে। মহম্মদ সেলিমের মতে, 'দক্ষিণপন্থীরা' এমন ভাবে 'ফিনান্স'-এর ব্যবহার করছে যাতে 'ফুড' বা পুরো খাদ্যের অধিকারই তাঁদের হাতে চলে যায়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, বামফ্রন্ট যখন এই আক্রমণ শানাচ্ছে, তখনই অন্য দিকে মুম্বইয়ে বৈঠকে বসছে বিরোধী জোট INDIA।  সম্ভবত এই বৈঠক থেকেই সামনে আসতে পারে তাদের লোগো। আজ INDIA জোটের প্রাথমিক পর্যালোচনা বৈঠক রয়েছে। এরপর INDIA-র নেতাদের জন্য় নৈশভোজের আয়োজন করেছেন উদ্ধব ঠাকরে। আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার চূড়ান্ত বৈঠকে বসবে বিরোধী জোট। সূত্রের দাবি, মুম্বইয়ের এই বৈঠক থেকে বিরোধী জোট INDIA-র লোগো প্রকাশ্য়ে আনা হবে। পাশাপাশি এই বৈঠকে INDIA-র একটি সমন্বয় কমিটিও তৈরি করা হবে। INDIA জোটের তরফে কাউকে মুখ হিসেবে তুলে ধরা না হলেও, বিভিন্ন দল এনিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে।


একান্ত বৈঠক...
মুম্বইয়ে বিরোধী জোট INDIA-র বৈঠকের আগে দিল্লির ১০ জনপথে একান্তে বৈঠক করেন রাহুল গান্ধী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আনন্দবাজার পত্রিকা সূত্রে খবর। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দীর্ঘ রাজনৈতিক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মুখোমুখি হন কংগ্রেসের মুখ রাহুল গান্ধী এবং তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস সূত্র উদ্ধৃত করে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচনা হয়েছে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের সার্বিক রণকৌশল, পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক বোঝাপড়ার মতো বিষয়গুলি নিয়ে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, আগামী দু'দিন রাহুল এবং অভিষেক একই শহরে অর্থাৎ মুম্বইয়ে থাকবেন। থাকবেন একই সভাকক্ষে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দিল্লিতে  আলাদা বৈঠক হল রাহুল-অভিষেকের। যা যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 


আরও পড়ুন:'চাঁদমামার উঠোনে যেন খেলা করছে কোনও শিশু', নিরাপদ রাস্তার খোঁজে রোভার 'প্রজ্ঞান'