সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: যুবভারতীতে মেসির অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার জল গড়াল হাইকোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার জন্য আবেদন করেছেন আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচাৰ্য। মামলা দায়েরের অনুমতি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের। আগামীকাল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

Continues below advertisement

 আরও পড়ুন, যুবভারতীকাণ্ডে এবার শতদ্রু দত্তের সংস্থার মোট ৬ সহযোগীকে তলব

Continues below advertisement

'বিশ্বের দরবারে পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হয়েছে, গোটা বিষয়টার একটা সুস্পষ্ট তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন'

এখনও অবধি যুবভারতীকাণ্ডে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। এবং দুটি মামলাই দায়ের করার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল, তিনি অনুমতি দিয়েছেন। এবং প্রথম মামলাটি দায়ের করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন বিল্বদল ভট্টাচাৰ্য। তাঁর বক্তব্য হল যুবভারতীতে, যে ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে, সার্বিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে সেটা কিন্তু খুব একটা, ভাল লক্ষণ নয়। বিশ্বের দরবারে পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হয়েছে। অতয়েব অবিলম্বে কলকাতা হাইকোর্ট পদক্ষেপ করুক। এবং এই গোটা বিষয়টার একটা সুস্পষ্ট তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারণেই এই আবদেন জানিয়েছেন। 

' যারা এই অব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক'

দ্বিতীয় আবেদনটি করেছেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। তার বক্তব্য হল যে, এই ঘটনার ক্ষেত্রে, সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস বা SFIO-কে দিয়ে একটা ইনভেস্টিগেশন করানো হোক। এই ঘটনার পিছনে কোথায় কোথায় আর্থিক গোলযোগ রয়েছে, এবং কী ধরণের মানিটারি ট্রানজকশন হয়েছে বা আর্থিক লেনদেন হয়েছে, সেই গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখা হোক। এবং যারা এই অব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। এই মর্মেও আবেদন জানানো হয়েছে। 

কমিটির বৈধতারও কিন্তু এই দুটি মামলায় চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে

এদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম কুমার রায়কে দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির বৈধতারও কিন্তু এই দুটি মামলায় চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। সেখানে একেবারে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, এইভাবে একেবারে তাড়াহুড়ো করে, কমিটি ঘটন করা হয়েছে, সেই কমিটির কার্যত কোনও বৈধতা নেই। এবং এই কমিটির ভূমিকা নিয়েও, তাঁরা কিন্তু সন্দিহান। সবমিলিয়ে তারা চাইছেন, কলকাতা হাইকোর্ট এই গোটা বিষয়টার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করুক।