কলকাতা: যুবভারতীকাণ্ডে এবার শতদ্রু দত্তের সংস্থার সহযোগীদের তলব। আগামীকাল, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা মোট ৬ জনকে তলব করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। মূলত, এত টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও কেন মেসিকে দেখতে পেলেন না দর্শকরা? বিধাননগর পুলিশের নির্দেশের পরও মাঠে কীভাবে ঢুকল জলের বোতল? স্টেডিয়ামের ভিতরে জলের বোতল বিক্রির পিছনে কাদের হাত? এসব বিষয়ে জানতে শতদ্রু দত্তের সংস্থার সহযোগীদের তলব পুলিশের।
আরও পড়ুন, যুবভারতীতে বিশৃঙ্খলা, 'উদ্যোক্তাকে বলির পাঁঠা করা হল..' ! তীব্র কটাক্ষ মালব্যর
অন্যায়ভাবে অপরাধী করা হচ্ছে। তিনি ইভেন্ট ম্যানেজার। তিনি কেন দায়বদ্ধ হবেন? যুবভারতীতে বিশৃঙ্খলাকাণ্ডে রবিবার আদালতে এমনই সওয়াল করলেন ধৃত আয়োজক শতদ্রু দত্তর আইনজীবী। পাল্টা রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী বলেন, শতদ্রু দত্ত ইভেন্টের আয়োজন করেছেন। কোনও পরিকল্পনা ছিল না। দর্শকদের মেসিকে দেখানোর দায়িত্ব আয়োজকদের। সওয়াল-জবাব পর্বের পর শতদ্রু দত্তকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
ফুটবলের রাজপুত্রের সফরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সাক্ষী থেকেছে কলকাতা! শনিবারই বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় আয়োজক শতদ্রু দত্তকে। রবিবার বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হলে, তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিন আয়োজক শতদ্রু দত্তর আইনজীবী দ্যুতিময় ভট্টাচার্য জামিনের পক্ষে সওয়াল করে বলেন, তাঁর মক্কেলকে এই মামলায় অন্যায়ভাবে অপরাধী করা হচ্ছে। তিনি ইভেন্ট ম্যানেজার। তিনি কেন দায়বদ্ধ হবেন? আগেও তিনি অনেককে এনেছেন। মেসির কাছে তাঁর নাম খারাপ হয়েছে।
রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী অমিতাভ লাহা বলেন, উনি (শতদ্রু দত্ত) ইভেন্টের আয়োজন করেছেন। কে সামনে থাকবে, কে সামনে যাবে, সেটা ঠিক করবেন আয়োজকরা। FIR-এ বলা হয়েছে মেসি যখন মাঠে ঢোকেন, আয়োজকরা মাঠে ঢুকে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। যে কারণেই গ্য়ালারি থেকে কিছু দেখা যাচ্ছিল না। তারা নিজেরা লোকজন দিয়ে ঘিরে রেখেছিলেন। তাই দর্শকরা কিছু দেখতে পাননি। কোনও পরিকল্পনা ছিল না। দর্শকদের (মেসিকে) দেখানোর দায়িত্ব আয়োজকদের। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। এই অপরাধে জড়িত অন্যদের খুঁজে বের করা, প্রমাণ সংগ্রহ -সহ মোট ১০টি গ্রাউন্ডে শতদ্রু দত্তকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর সওয়াল করছি।
ধৃত শতদ্রু দত্তর আইনজীবী দ্যুতিময় ভট্টাচার্য বলেন, ঘটনার গুরুত্ব দেখে আমাদের মাননীয় জজসাহেব পুলিশের যে আবেদন ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত সেটাই মঞ্জুর করেন এবং আজের জন্য জামিনের আবেদন বাতিল করেন। এদিকে, শতদ্রু দত্তকে যখন কোর্টে ঢোকানো হচ্ছে, তখন দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা-কর্মীরা। শতদ্রু দত্তকে যে গাড়িতে করে বিধাননগর মহকুমা আদালতে আনা হয়, সেই গাড়ির দিকে জুতো হাতে তেড়ে যান বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মীরা। আদালতেও ঢুকে পড়েন কয়েকজন বিক্ষোভকারী।