‘তোলামূল পার্টির সঙ্গে সন্ত্রাসের ভূমিকা নিয়েছে পুলিশও’। এবার পুলিশকে হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এদিন ভূপতিনগরের সভা থেকে পুলিশকে সুর চড়িয় শুভেন্দু বলেন, ‘বিজেপি কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা পুলিশের। পুলিশ শুনে রাখো, বিজেপির অধীনেও কাজ করতে হবে তোমাকে। থানায় মানুষ আসেন আইনের আশ্রয় নিতে, সেই থানা এখন তৃণমূলের অফিস। তোলামূল পার্টির চোরেদের বলছি, দখলের রাজনীতি বন্ধ করুন’। উল্লেখ্য, পুলিশকে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক বিজেপি কর্মীকে। ভূপতিনগরে শুভেন্দুর সভার পরই গ্রেফতার করা হয়ে বিজেপি কর্মীকে। ভূপতিনগর থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার বিজেপি কর্মী।
গত ২৩ নভেম্বর ডিসেম্বর ডেডলাইন নিয়ে ফের হুঙ্কার দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার করব না, ভোটে জিতে সরকার করব’। পাশাপাশি তাঁর হুঁশিয়ারি, 'ডিসেম্বরে রাজ্যের সবথেকে বড় চোর ধরা পড়বে।' দু’দিন আগেই ছবি-বিতর্ক উস্কে দিয়েও, তদন্তের প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ফের একবার নাম উহ্য রেখে ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন বিরোধী দলনেতা।
সারদা-হুঁশিয়ারি
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, 'অপেক্ষা করুন, অপেক্ষা করুন। ছবি আসছে, ছবি আসছে। শুধু ভাতিজা নয়, সঙ্গে বুয়াকেও যেতে হবে। এ তো সবে সকাল, এ তো সবে সকাল। ছবি কেনাটা তো আসছে। সঞ্জয় বুধিয়া, হর্ষ নেওটিয়া, সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুণ্ডু কার ছবি কিনেছিলেন? লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ছবি? ভেবেছেন সারদা পুরনো হয়ে গেছে না?' পাশাপাশি ফের একবার বড় চোর ধরা পড়ার কথা বললেন তিনি। সঙ্গে ভোটে জিতে সরকার করার দাবিও জানালেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বলেছেন, 'আমরা জোর করে সরকার ফেলার পক্ষপাতী নই, বাংলায় বিজেপি বাংলার মানুষের রায় নিয়েই ক্ষমতায় আসবে। যদি এ সরকার পড়েও যায়, তাহলেও আমরা মানুষের রায় নিয়েই ক্ষমতায় আসব'।
কী হবে ডিসেম্বরে ?
ডিসেম্বর আসতে আর মেরেকেটে সাতদিন। তারপর ৩১ দিনের ডিসেম্বর। আর ডিসেম্বরের শীতেই রাজনৈতিক দাবানলের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু অধিকারী! যদিও, গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। রাজ্যের শাসদলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব ব্যাকডোর পলিটিক্স করছেন। অন্য কুৎসা করছেন। বঙ্গভঙ্গ করতে চাইছেন। আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করতে চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রী বারবার সব জায়গায় ছুটে যাচ্ছেন। বিজেপি ভাঙতে চাইছে। নিয়মিত ভাঙতে চাইছে। মানুষ বিজেপিকে দেখলেই প্রশ্ন করুক, কেন বাংলাকে ভাগ করতে চাইছ? এদের পুরোদস্তুর বয়কট করুক। আমরা মানুষের পাশে থাকব।'
অন্যদিকে মমতা-শুভেন্দুর সাক্ষাত্ নিয়ে সেটিং-এর অভিযোগ তুলেছে বাম-কংগ্রেস। এবার, কাঁথির ভূপতিনগরের সভা থেকে সেই অভিযোগের জবাব দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করার কথা বললেন বিরোধী দলনেতা। জবাব দিয়েছে তৃণমূল। সেটিং-অভিযোগের জবাব দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক ঘিরে যখন সেটিংয়ের অভিযোগ তুলছে সিপিএম এবং কংগ্রেস তখন তৃণমূলের প্রতি তাঁর মনোভাব যে নরম, এমনটা যেন কেউ মনে না করেন, তা বোঝাতে কাঁথির ভূপতিনগরের সভা থেকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।