সমীরণ পাল, শ্যামনগর : শ্যামনগরে ডাউন কৃষ্ণনগর লোকালের কাপলিং খুলে বিপত্তি। কাপলিং খুলে পিছন থেকে আলাদা হয়ে গেল পাঁচটি কামরা। বিকেল ৫টা থেকে ডাউনে ২ নম্বর লাইনে বন্ধ ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।


ট্রেনের প্রথম অংশ অর্থাৎ ৫টি বগিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার জেরে শিয়ালদা-কৃষ্ণনগর মেন লাইনে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। ঘটনার পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন রেলকর্মীরা। প্রথম অংশটি কিছু আগেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেটি ব্যারাকপুর স্টেশনে রয়েছে। পরবর্তী অংশটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। 


একই রকম ঘটনা আগেও-


চলতি বছরেরই জুলাই মাসে একইরকম  ঘটনা ঘটেছিল হাওড়ার আবাদা স্টেশনে। ট্রেনের কাপলিং খুলে ভয়ঙ্কর বিপত্তি ঘটে। সকাল ৮টা ৪৮ মিনিটে ঘটনাটি ঘটে। যার জেরে ব্যাহত হয় রেল পরিষেবা। 


হাওড়াগামী ডাউন উলুবেড়িয়া লোকাল আবাদা স্টেশন ছেড়ে বেরোনোর পর মাঝের দুটি বগির কাপলার খুলে যায়। যাত্রীরা আতঙ্কে চিত্কার শুরু করায় ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। পরে বাগনান লোকালে ওঠানো হয় ওই যাত্রীদের। 


যদিও বড় কোনও বিপত্তি ঘটেনি। চালক তৎপরতার সঙ্গে ট্রেনটি মাঝপথেই থামিয়ে দেন। তারপর ওই ট্রেনের যাত্রীদের অন্য ট্রেনে গন্তব্যে পাঠানো হয়। ওই লোকাল ট্রেনটিকেও কারশেডে নিয়ে যাওয়া হয়। সাঁকরাইল (Sankrail) ও আবাদা (Abada) স্টেশনের মাঝে ট্রেনের ৭ ও ৮ নম্বর কামরার মাঝের কাপলিং খুলে যায়। তবে বড় কোনও বিপদ ঘটেনি।


রেলযাত্রীরা জানান, নিত্যদিনের মতো সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ উলুবেরিয়া (Uluberia) থেকে হাওড়াগামী লোকাল ট্রেনটি যাত্রীদের নিয়ে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। হঠাৎ করেই সাঁকরাইল ও আবাদা (Abada) স্টেশনের মাঝে জোরে ঝাঁকুনি দিয়ে ট্রেনটি থেমে যায়। তারপর দেখা যায়, ট্রেনের ৭ ও ৮ নম্বর কামরার মাঝখানে কাপলিং খুলে গিয়েছে। কাপলিং খুলে যাওয়ায় আতঙ্কিত হতে পড়েন যাত্রীরা।                             
১২টি বগির ট্রেনের ৭টি কামরা বাকি ৫টি কামরার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । খানিক পরেই দক্ষিণ-পূর্ব শাখার অধিকারিকদের উপস্থিতিতে বগিগুলিকে আবার জুড়ে দেওয়া হয় ।  


আরও পড়ুন ; স্টেশন ছাড়তেই খুলল ট্রেনের কাপলিং, প্রবল আতঙ্কে চিৎকার যাত্রীদের