অনির্বাণ বিশ্বাস ও সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা : সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Rachana Banerjee ) , লকেট চট্টোপাধ্যায় ( Locket Chatterjee ) । এক সঙ্গে কাজ করার স্মৃতি দুজনেরই মনে। এবার কি রাজনীতির ময়দানের লড়াই সেই পুরনো মাধুর্য নষ্ট করবে ? দু'জনই অভিনেত্রী। লাইট-সাউন্ড-ক্যামেরা-অ্যাকশন-এর জগতে সহকর্মী । কিন্তু রাজনীতি তাঁদের একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। হুগলি লোকসভা (Hooghly Loksabha Elections )  আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। আর তাঁর বিরুদ্ধে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল। সহকর্মী হিসেবে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে একে অপরকে কত নম্বর দিচ্ছেন রচনা ও লকেট ? 

Continues below advertisement

লকেট চট্টোপাধ্যায় বললেন, ' এই লড়াইটা হচ্ছে মোদিজির দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। মোদি ভার্সেস মমতার লড়াই। এখানে কোনও অভিনেত্রী দিয়ে জাগজমক দিয়ে, দিদি নাম্বার ওয়ান দিয়ে যদি দুর্নীতিগুলোকে ধামাচাপা দিতে চায়, হুগলির মানুষ এতটা বোকা নয়।' 

ইদানীং কালে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা মানেই কুকথার তোড়। তবে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু লকেটের সম্পর্কে ব্যক্তিগত স্তরে একটিও খারাপ কথা বললেন না। লকেটও না। বরং রাজনীতিতে নতুন  'দিদি নাম্বার ওয়ান' জানালেন, লকেট নিশ্চয়ই রাজনীতির ময়দানে অভিজ্ঞতায় এগিয়ে, ভাল কথাও বলেন, ভাষণ দেন। সেই সঙ্গে বললেন, 'বিশ্বাস করুন, আমি কোনওরকম, আমার কাছে খাতা বই, কী ভাষণ দেব! সবাই বোধ হয় লিখে নিয়ে যায় কতকিছু করবে। আমি এমন একজন মানুষ, আমি যখন রাজনীতিতে এসেছি মন থেকে কথা বলব। আমি আমার মনের ভিতরে যাবতীয় যা যা আছে, সেটাই আমি কথা বলব হয়তো মাইক নিয়ে লোকের সামনে।' 

Continues below advertisement

অন্যদিকে লকেট চট্টোপাধ্যায় বললেন, ' আজ ১০ বছর হল চলে এসেছি, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে চলে এসেছি সবকিছু ত্যাগ করে, মানুষের কাজে চলে এসেছি। উনি তো এখনও পর্যন্ত সিরিয়ালে আছেন। টিভিতে রয়েছেন। টিভির মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছেছেন। সুতরাং আমাদের দু'জনের ক্ষেত্র আলাদা হোক না কেন, কিন্তু আমরা নিশ্চয়ই বন্ধু থাকব। আন্তরিকতা তো সবসময়... আগে তো মানুষ, তারপরে তো রাজনীতি।'  

একজন পাঁচ বছরের সাংসদ! আরেকজন সদ্য রাজনীতিতে এসেছেন! এই দুই তারকার লড়াইয়ে কে জেতে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ভোটের ফলের জন্য। তবে সবকিছুর মধ্যে ইতিবাচক দিক এটুকুই, এখনও পর্যন্ত রাজনীতির লড়াই দুই নেত্রীর ব্যক্তিগত সম্পর্ককে তিক্ততার স্রোতে ভাসাতে পারেনি।