কলকাতা: শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) সাংসদ পদ খারিজের জন্য তৃণমূলের (TMC) আবেদন পাঠানো হল লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটির (Lok Sabha Committee of Privileges) কাছে। তৃণমূলের অভিযোগ এবং সাংসদের বয়ান, দুই খতিয়ে দেখে তাঁকে নিয়ে নিজেদের মতামত জানাবে ওই কমিটি। তার পর তাদের সুপারিশ মেনে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা (Lok Sabha Speaker  Om Birla)। শিশিরের সাংসদ পদ খারিজের বিষয়টি কত দূর এগিয়েছে জানতে চাওয়ায়, লোকসভার তরফে এমনই জানানো হল তৃণমূলকে।


পশ্চিমবঙ্গ থেকে লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটিতে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee), বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মতো নেতারা। দু’তরফের বক্তব্য পর্যালোচনা করে দেখবেন তাঁরা। তার পর স্পিকারকে সেই অনুযায়ী সুপারিশ করা হবে। তবে শিশিরের সাংসদ পদ থাকবে, না তা বাতিল করা হবে, সেই সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকারই।


গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে ছেলে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে (BJP) যোগ দিলে, শিশিরও পদ্মশিবিরে গিয়ে ওঠেন। অমিত শাহের প্রচারসভাতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।  তাতেই তাঁর সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি লেখেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। দলত্যাগ বিরোধী আইনে শিশিরের সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। 


আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar : ধনকড় - শুভেন্দু, ভানু গোয়েন্দা - জহর অ্যাসিসট্যান্ট, বললেন কুণাল


শুধু শিশিরই নন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলও। তাঁরও সাংসদ পদ খারিজের জন্য আবেদন জানায় তৃণমূল। কিন্তু পরবর্তী কালে ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন সুনীল। জানান, দলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল তাঁর। চিঠি লিখে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে ক্ষমাও চান বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল। এর পর তাঁর সাংসদ পদ খারিজের বিষয়টি নিয়ে এগোয়নি তৃণমূল। লোকসভার স্পিকারকেও তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। 


কিন্তু যত সময় এগিয়েছে অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের অবনতিই হয়েচে। তাই এত দিন ধরে শিশিরের সাংসদ পদ খারিজের আবেদন পড়ে থাকা নিয়ে ফের সক্রিয় হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরে আসা মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে শুভেন্দু যখন অতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন, সেই সময় শিশিরের সাংসদ পদ খারিজ করা নিয়ে তৃণমূলের এই উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।