পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: টোটো চালিয়ে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে প্রচার চালালেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী সুভাষ সরকার। আজ বাঁকুড়ার খাতড়া বাজারে তিনি প্রচারে যান।
দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল করার পাশাপাশি আচমকাই পথ চলতি একটি টোটোকে থামিয়ে নিজে বসে পড়েন চালকের আসনে। টোটো চালককে পাশে বসিয়ে নিজেই বেশ কিছুটা টোটো চালান বিজেপির বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুভাষ সরকার। সুভাষ সরকারের দাবি, টোটো গরিব ও সাধারণ মানুষের ও জীবিকার সঙ্গে জড়িত। সেই শ্রেণীর মানুষের কাছে স্বাভাবিকভাবেই পৌঁছাতে প্রচারে বেরিয়ে এদিন তিনি টোটো চালিয়েছেন।
লোকসভা ভোটের প্রার্থী ঘোষণা হতেই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে প্রচার। নিজের লোকসভা কেন্দ্রে বাইক র্যালি করলেন সুকান্ত মজুমদার। মথুরাপুরে কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিলেন তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার। অন্য়দিকে মেদিনীপুরে জুন মালিয়ার নামে শুরু হয়েছে দেওয়াল লিখন। দুয়ারে লোকসভা ভোট। তার আগে সময় নষ্ট না করে প্রচারে নেমে পড়লেন প্রার্থীরা।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট আসনে এবারও সুকান্ত মজুমদারকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। এদিন বালুরঘাট স্টেশন থেকে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বাইক র্যালি করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। এরপর পুজো দেন কালী মন্দিরে। সুকান্ত মজুমদার বলেন, আজকে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে পুজো করে প্রচার শুরু করলাম। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের এবারের তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার।
উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই দ্বিতীয়বারের জন্য তিনি ভোটে লড়বেন জানিয়েছেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী।তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী ও হরিরামপুরের বিধায়ক বিপ্লব মিত্র। ২০১৯-এ তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০২০-তে ফের তৃণমূলে ফেরেন। মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রকে তৃণমূল লোকসভা আসনে দাঁড় করানোয় জেলারই ক্ষতি বলে দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন, কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজরে অভিষেক, মমতা বলেন..
রবিবার প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পরই সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী ও সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরাকে সঙ্গে নিয়ে কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দেন বাপি হালদার। মথুরাপুর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বাপি হালদার বলেন, দল যখন যে দায়িত্ব দিয়েছে নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি। সুতরাং এটা নিয়ে যে বিরাট আশাবাদী ছিলাম তা নয়। দলনেত্রী, দলের সেনাপতি তাঁরা যা ভেবেছেন সেটাকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি। মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়াকেই এবার মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ব্লকের একাধিক এলাকায় তাঁর নামে শুরু হয়েছে দেওয়াল লিখন।