কলকাতা: লোকসভা ভোটের আগে (Lok Sabha Election 2024) একাধিক মামলায় জেরবার শাসকদল (TMC)। এমনকি জানুয়ারিতে রামমন্দির উদ্বোধনের আগেও রেশন দুর্নীতি মামলায় শ্রীঘরে গিয়েছে শাসকদলের হেভিওয়েটরা। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, কয়লা পাচার মামলা-সহ একাধিক মামলায় পদে পদে জড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নের্তৃত্ব । যদি সন্দেশখালি ইস্যুকে (Sandeshkhali Violence) পাশে রাখা হয়, তারপরেও অন্যান্য মামলাগুলিও সেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির (CBI, ED) হাতেই রয়েছে। আর এখানেই উল্টোস্রোত। পরিস্থিতি অনেকটাই প্রতিকূলে। জট তো খোলেইনি। উল্টে ভোটের আগে, আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে তৃণমূল, বলেই চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে। তাই রাতভর সিএএ-র পাশাপাশি আরও একটা ইস্যুতে ফের মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোকে। তা হল, কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজরে অভিষেক, এদিন তা নিয়েই ফের আক্রমণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন,'অভিষেক তরুণ ছেলে, বিয়ে করেছে, কিছু তো করে খাওয়াতে হবে। ব্যবসা শুরু করেছিল, সব সম্পত্তি অ্যাটাচ করে নিয়েছে। আমি কখনও কিছু বলিনি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। আমাদের যা আছে নাও, কিন্তু গণতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নিও না', অভিষেক নিয়ে শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে আক্রমণে মমতা। 


গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে,  'লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস' নিয়ে, এজলাস ও এজলাসের বাইরে কম হৈ চৈ হয়নি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো সমনের চিঠিতে,লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসে তাঁর পদ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে দিয়েছিল  এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।যেখানে বলা হয়েছিল, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (CEO) এবং ২০১২-র এপ্রিল থেকে ২০১৪-র জানুয়ারি পর্যন্ত এই কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। 


লোকসভা ভোটের আগে, শিলিগুড়ির সভা থেকে এবার, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের 'সম্পত্তি অ্যাটাচ' প্রসঙ্গ উঠে এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়। মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,আমি কখনও কিছু বলিনি। এই কারণে বলিনি যে, আমাদের যে লড়াই সেটা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধেই। আমাদের যা যা আছে আপনি নিয়ে নিন। কিন্তু গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেবেন না। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে উঠে আসে রুজিরা ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সম্পত্তির প্রসঙ্গ।তখন এজলাসে ইডি-র আইনজীবী জানান, অভিষেক, রুজিরা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং ডিরেক্টররা বিপুল নথি জমা দিয়েছেন।  


আরও পড়ুন, 'আবেদন করার আগে..', CAA নিয়ে কী বার্তা মমতার ?


তখন বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, আপনাদের নথি থেকে দেখা যাচ্ছে, এই বিপুল সম্পত্তির বেশিরভাগই ২০১৪ সালের পরে। এই অল্প সময়ের মধ্যে এই বিপুল সম্পত্তি। আর এই সময়ের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতিও হয়েছে।এরপর লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নিয়ে জল গড়ায় বহুদূর পর্যন্ত। আর এবার, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি অ্যাটাচের প্রসঙ্গ তুলে, নাম না করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী।