কলকাতা: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রাজ্য়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ (Election Commission)। ১৩ জনের দলে রয়েছেন দেশের মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার সহ কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা। আজ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশনের ফুল বেঞ্চ।


আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মোট ৮টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করবে ফুল বেঞ্চ। এরপর রাজ্য় পুলিশের আইজি, সমস্ত জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, কলকাতা সহ সমস্ত কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক হবে। কাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির সঙ্গে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সকাল ১১টা থেকে রাজ্য়ের মুখ্য়সচিব ও রাজ্য় পুলিশের DG-র সঙ্গে হবে বৈঠক। ভোটার তালিকা থেকে রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা, জামিনঅযোগ্য় গ্রেফতারি পরোয়ানা, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, আয়-ব্য়য়ের হিসেব সহ সামগ্রিক বিষয় খতিয়ে দেখবে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। 


যে কোনও মুহূর্তে ঘোষণা হতে পারে লোকসভা ভোট।ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রবিবার রাজ্য়ে এসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে ইতিমধ্য়েই রাজ্য়ে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্য়ে পা রেখেই রুটমার্চ শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।   কসবা, পর্ণশ্রী, গার্ডেনরিচ, সার্ভে পার্ক, পূর্ব যাদবপুর, নিউ মার্কেট, বড়তলা, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স ও ভাঙড় থানা এলাকায় এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিন পূর্ব যাদবপুর, কসবা, সার্ভে পার্ক সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় রুটমার্চ করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।


পশ্চিম মেদিনীপুর মোহনপুরের বিভিন্ন এলাকায় রুটমার্চ করলেন সিআরপিএফের মহিলা বাহিনী। মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। কেউ ভয় দেখাচ্ছে কিনা জানতে চাওয়া হয়।পুরুলিয়ার বলরামপুর বিধানসভা এলাকায় পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ পুলিশ আধিকারিকদের নেতৃত্বে রুটমার্চ করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দেন তাঁরা। জঙ্গলমহলে মাওবাদী হামলার আশঙ্কায় আগে থেকেই ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। নতুন করে কোনও বাহিনী আসেনি।


আরও পড়ুন, বাংলার প্রার্থী তালিকা নিয়ে আলোচনার জন্য আজই দিল্লি যাচ্ছেন সুকান্ত


কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয়বার প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের এলাকা দিনহাটার ভেটাগুড়িতে টহল দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। দিনহাটায় এক কোম্পানি ও মাথাভাঙায় এক কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। আরও ৩ কোম্পানি বাহিনী আসার কথা জেলায়। হাবড়ার পৃথিবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় টহল দিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ভোট ঘোষণার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসায় আশ্বস্ত গ্রামবাসীরা। ভোট হিংসা এবং সন্ত্রাসের অভিযোগ বঙ্গে নতুন নয়। লোকসভা ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে নজিরবিহীনভাবে বাংলার জন্য় ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই প্রেক্ষিতে ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্য়ে রুটমার্চ শুরু করল কেন্দ্রীয় বাহিনী।