কলকাতা: লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আগে একাধিক ইস্যুতে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি কিংবা রাজ্য পুলিশ, এই ইস্যু নিয়ে জোর তরজায় তৃণমূল (TMC)-বিজেপি (BJP)। এদিন পুলিশের (Police) পদস্থ কর্তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে আর্জি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
বিজেপি নেতা বলেন, 'ভোট পরবর্তী হিংসায় ৬১টি এফআইআর সিবিআই করেছে। ১৫টি রাজ্যে ভোট হয়েছে, বাংলার মতো কোথাও হিংসা হয়নি। পঞ্চায়েত ভোটে আদালতের নির্দেশে ৮২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে, ৫৫ জন খুন হয়েছে। বহু পঞ্চায়েতে ভোটই দিতে পারেননি ভোটাররা। তৃণমূল দুর্নীতি ছাড়া কিছু করেনি। অবাধ শান্তিপূর্ণ ভোটের ব্যবস্থা করুন। বাংলার ভোটে পুলিশ প্রধান প্রতিপক্ষ', নির্বাচন কমিশনের পুলিশ পর্যবেক্ষকের সঙ্গে সাক্ষাত করে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর।
শুভেন্দুর কথায়, 'এর আগে সন্দেশখালিতে ইডি আক্রান্ত হয়েছে, আদালত হস্তক্ষেপ করেছে। এনআইএ-র উপর হামলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ করুক', ভোট শেষের পরের ৩ মাস রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার আর্জি। ১৩ হাজার বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে রাজ্য পুলিশ', পুলিশ সংযত না হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব, হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন, ভূপতিনগরে এনআইএ-র উপর হামলার ২ দিন পরেও গ্রেফতার শূন্য, সরানো হল তদন্তকারী অফিসারকে
লোকসভা ভোটের একমাস আগে থেকেই কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় শুরু হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ নিয়ে, রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিরোধীদের এরকমই নানা অভিযোগ ছিল কমিশনের কাছে। সেই ভিত্তিতে কড়া পদক্ষেপ করেছিল নির্বাচন কমিশন।
এদিকে আজ বাঁকুড়ার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বললেন, ৪ জুনের পর সবাইকে জেলে ভরবেন। একথা কি প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোভা পায়? এখনই তো গোটা দেশকে এজেন্সি দিয়ে জেল বানিয়ে রেখেছেন। আমরা আপনার হুমকিকে ভয় পাই না। প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছ থেকে মানুষ ভদ্র ভাষা প্রত্যাশা করে। কিন্তু আমাদের ভয় দেখাবেন না, আমরা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার', আহত বাঘ কিন্তু ভয়ঙ্কর, হুঙ্কার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে