কলকাতা: কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে (Central Agency) 'অপব্যবহারের' অভিযোগ শাসকদলের আজকের নয়। অতীতে এনিয়ে বারংবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটু পিছিয়ে দেখলে ভোটের আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তলবের মুখে আগেও পড়েছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। গ্রেফতারও হয়েছেন। নানা মামলায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের হেভিওয়েটদের। এই অবধি অভিযোগটা একরম ছিল। তবে আবহ বদলেছে সন্দেশখালি, ভূপতিনগরকাণ্ডের পর। দুটি স্থানেই কেন্দ্রীয়বাহিনীকে হামলার অভিযোগ উঠেছে। ভূপতিনগরকাণ্ডে (Bhupatinagar Incident) আরও ৩ তৃণমূল নেতাকে আজ তলব করেছে এনআইএ (NIA)। এদিকে বিজেপি-এনআইএ যোগসাজসের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে (EC) যাচ্ছে তৃণমূল (TMC)।


বলাইবাহুল্য, চব্বিশের ভোটের আগে সবমিলিয়ে ক্রমশ প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। মুখ খুলেছেন অভিষেক। এবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এনআইএ-র অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে শাসকদল। বিজেপি-এনআইএ যোগসাজসের অভিযোগে আজই নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছেন শান্তনু-দোলারা। দিল্লি যাওয়ার আগেই ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।লেনদেনের আশঙ্কা প্রকাশ করে কমিশনে নালিশ জানাবে তৃণমূল। 'ভোটের আগে এজেন্সির অপব্যবহার করে তৃণমূলকে ভয় দেখাতে চাইছে বিজেপি',দিল্লি যাওয়ার আগে অভিযোগ তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের। 


এদিন দোলা সেন বলেন, 'সরাসরি আমরা অভিযোগ করছি। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। বিজেপি নের্তৃত্বের পক্ষ থেকে, বিজেপির পক্ষ থেকে, সরাসরি প্রতিনিধি সরাসরি এনআইএ-র গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে , আমরা জানিনা কী লেনদেন হয়েছে ? কিন্তু কিছু তো আছে, যে তাঁরা অ্য়াপয়েন্টমেন্ট করেছেন, কথা বলেছেন..। এটা হচ্ছে ভোটে যাতে শান্তভাবে তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যান্য রাজ্যের বিজেপি বিরোধীরা অংশ নিতে না পারে। যাতে তাঁদের ভোটের কাজে অসুবিধার সৃষ্টির হয়। নির্বাচন কমিশন একটা নিরপেক্ষ জায়গা, তাই আবারও আমরা আজকে ১০ জনের প্রতিনিধি দল, তৃণমূলের পক্ষ থেকে দিল্লি যাচ্ছি।' 


আরও পড়ুন, 'পোলিং বুথে তৃণমূলের জামানত জব্দ হওয়া চাই..', মোদি নিশানার পর পাল্টা মমতা


অপরদিকে, পাল্টা বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য বলেছেন, 'একটা রাজনৈতিক দল সমাজে একটা গভীর অসুখ তৈরি করেছে। যারা মানুষের সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকারগুলিকে বাজেয়াপ্ত করেছে। যারা প্রত্যেকটি প্রতিবাদকে রক্তাক্ত করে দিয়েছে। নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে।যারা সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে উদ্ধত হয়েছে। যারা সমাজের মধ্যে হিন্দু মুসলমানের নামে বিভাজন সৃষ্টি করছেন। সুতরাং তাঁরা যেকোনও জায়গায় গিয়ে অভিযোগ দিতে পারেন। এধরণের অভিযোগ দিলে কোনওদিন ওই ভূপতিনগরের ওই বিস্ফোরণটা মিথ্যে হয়ে যাবে না।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।