মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় , পশ্চিম বর্ধমান :  ফুটছে দুই বর্ধমান। প্রায় ৪৩ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে কড়া সতর্ক বার্তা দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। বিশেষভাবে শিশু ও বৃদ্ধদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতেও লোকসভা ভোটের প্রচারে প্রার্থীদের চষে ফেলতে হচ্ছে নিজের কেন্দ্র।  বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে ব্যাট ধরেছেন দিলীপ ঘোষ। নতুন পিচে খেলা। ময়দান চষে বেড়াচ্ছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। গরম উপেক্ষা করেই করছেন প্রচার। বেশিরভাগ সময়ই পায়ে হেঁটে প্রচার করেন দিলীপ। বসে পড়েন চায়ের কাপ হাতে নিয়ে। তারপর বিরোধীদের অল-আউট অ্যাটাক করেন। এই এনার্জির রহস্য কী ? এই গরমে কী খেয়ে নিজের শরীর সুস্থ রাখছেন দিলীপ ঘোষ ? 


দিলীপ ঘোষ জানালেন , তাঁর দিন শুরু হয় দুটো রুটি খেয়ে। সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন সবজি থাকে। তারপরই প্রচারে বের হন বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী । সকালে অবশ্য চায়ে পে চর্চায় চা তো থাকেই। সারাদিন হেঁটে হেঁটে প্রচার। তাই রোদের তাপে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই মাঝে মধ্যে থাকছে জল বা শরবত। এই গরমে তিনি ভরসা রাখছেন আম পোড়া সরবত, বাড়িতে বানানো টক দইয়ের উপর। অন্যদেরও তিনি গরমে এই দুটি জিনিসের উপর ভরসা রাখতে বললেন। 


ভোটের সময় অসম্ভব পরিশ্রম, তার উপর এমন রোদের তেজ। এসময় ভাজাভুজি খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে। তাই হালকা খাবারই পছন্দ দিলীপ ঘোষের। নিজে পছন্দ করেন নিরামিষ পদ।  দুপুরে কোনওদিন খাওয়া - দাওয়া  হচ্ছে কোনও সমর্থকের বাড়িতে । আবার কোনওদিন হোটেলে খাবার খাচ্ছেন  বর্ধমান - দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। 


গরমে নিরামিষ খাবার পছন্দ করেন তিনি। সঙ্গে পাতে থাকে প্রচুর পরিমানে স্যালাড। গরমে কাঁচা পেঁয়াজ খুবই উপকারী। তাই পাতে পেঁয়াজ রাখতে পছন্দ করেন তিনি। মেনকোর্সে  থাকে ভাত, ডাল, করলা ভাজা, পোস্ত , শুক্ত, শাক, পোস্ত বড়া ইত্যাদি।  মাছ খেলে দিলীপের পছন্দ কুচো মাছ।  বর্ধমানের প্রবল গরমে সকলকে দিলীপ ঘোষের পরামর্শ,  রোদে বেরোবেন না। কিন্তু তাঁকে তো বেরোতেই হবে, নিজের নতুন কেন্দ্রের মানুষদের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে যে ! 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 
আরও পড়ুন :                          


কোন কোন উপসর্গ দেখলে বুঝবেন হিটস্ট্রোক ? ব্রেন স্ট্রোকের সঙ্গে এর ফারাক কোথায় ?